দুর্ঘটনায় পড়া বাস। নিজস্ব চিত্র
যাত্রী বোঝাই বাস উল্টে জখম হলেন ২৫ জন যাত্রী। বুধবার সকালে বহরমপুর থানার কাটাবাগান লাগোয়া দুবড়ামাটি মাঠের কাছে বহরমপুর-করিমপুর রাজ্য সড়কে ওই দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে ১৬ জনকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তাঁদের মধ্যে সাত জন মহিলা। প্রাথমিক চিকিৎসার পর অবশ্য অধিকাংশকেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে।
হরিহরপাড়া ও আমতলা হয়ে বাসটি বহরমপুর থে্কে করিমপুরের দিকে যাচ্ছিল। উল্টো দিক থেকে বহরমপুরের দিকে আসছিল একটি টোটো ও ট্রাক্টর। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাসটি তাদের পাশ কাটাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে উল্টে যায়।
তবে উল্টে য়াওয়ার আগে টোটো এবং ট্রাক্টরটিকেও ধাক্কা মারে সেটি। পুলিশ জানায়, বাস ও ট্রাক্টর দু’টি আটক করা হয়েছে। দু’টি গাড়িরই চালক পলাতক। আহত টোটো চালক নমাজি শেখকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। নমাজি বলেন, ‘‘ট্রাক্টর চালকের দোষ নেই। বাসটিই ভুল পথে ঘুরে গিয়ে আমাদের ধাক্কা মারে তার পর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়।’’
মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশের ‘বিপর্যয় মোকাবিলা দল’-এর অন্যতম কর্ণধার কাবাতুল্লা শেখ ও তাঁর দলের কয়েক জন সদস্যের বাড়ি ঘটনাস্থল থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে। দুর্ঘটনার কয়েক মিনিটের মধ্যে দলবল নিয়ে সেখান হাজির হন কাবাতুল্লা। তিনি বলেন, ‘‘গাড়ি থেকে ‘জ্যাক’ নামিয়ে ওই বাসের একটি দিক ফুট দুয়েক উঁচু করা হয়। তার পর আহতদের বাসের নিচ থে্কে উদ্ধার করা হয়। আর কিছুটা দেরি হলে বাসের তলায় চাপা পড়ে থাকা যাত্রীদের অনেকের মৃত্যু হতে পারত।’’
বহরমপুর শহর লাগোয়া ভাকুড়ির মোড় থেকে আমতলা পর্যন্ত দূরত্ব প্রায় ৪০ কিলোমিটার। দীর্ঘ ওই রাজ্য সড়ক ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে সংস্কারের কাজ চলছে। অভিযোগ, মাস দুয়েক থেকে ঢিমেতালে সড়ক সংস্কারের কাজ চলছে। সংস্কার কাজের জন্য সড়কের বিভিন্ন জায়গা খোঁড়াখুঁড়ি করতে হয়েছে। তার ফলে এ দিনের ঘটনাস্থল-সহ পিচ-পাথরের সড়কের অনেক জায়গায় কাদামাটির আস্তরণে ঢেকে গিয়েছে। গত মঙ্গলবারের রাতের বৃষ্টিতে কর্দমাক্ত এলাকা পিছল হয়ে গিয়েছে। কাবাতুল্লা বলেন, ‘‘ওই পিছল সড়কে চালক নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পারায় উল্টে যায় গাড়িটি।’’ জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ রাজীব হোসেন বলেন, ‘‘কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য পূর্ত দফতরকে বলা হয়েছে।’’