— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
মাস চারেক আগে রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল এক কিশোর। পরে বাড়ির অদূরে তার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সম্প্রতি ওই ঘটনায় তিন প্রতিবেশী পাকড়াও হল পুলিশের হাতে। অভিযোগ, নাবালককে অপহরণ করে খুন করেন ওই প্রতিবেশীরা।
পুলিশ সূত্রে খবর, ২০২৪ এর ২৭ নভেম্বর মুর্শিদাবাদের লালগোলা থানার সাগিয়া জগন্নাথপুর এলাকা থেকে উদ্ধার হয় ১১ বছরের এক নাবালকের দেহ। তার আগের দিন থেকে নিখোঁজ ছিল ওই কিশোর। পরিবারের দাবি, খেলতে বেরিয়ে আর বাড়ি ফেরেনি ছেলে। অনেক খোঁজাখুঁজির পরে কোথাও তাকে না পেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিল পরিবার। পরের দিন বাড়ির অনতিদূরে পুকুরের পাশে ঝোপ থেকে নাবালকের দেহ মেলে।
ওই ঘটনায় লালগোলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে মৃতের পরিবার। তার ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ। চার মাস পরে ওই মামলায় তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে তারা। জানা যাচ্ছে, ওই তিন জনই নাবালকের প্রতিবেশী। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, এঁরা সকলে মিলে নাবালককে খুন করেন। যদিও খুনের কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। গ্রাম্যবিবাদ না কি পারিবারিক শত্রুতায় ১১ বছরের এক কিশোরকে খুন করা হয়, সে নিয়ে তদন্ত চলছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার রাতে সুফলকুমার দাস, সঞ্জয় মণ্ডল এবং সুভাষচন্দ্র দাস নামে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার তাঁদের সাত দিনের জন্য পুলিশি হেফাজত চেয়ে লালবাগ আদালতে পাঠানো হয়। ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে কিশোরের হত্যারহস্যের উদ্ঘাটনে মরিয়া পুলিশ। পরিবারও চাইছে সঠিক তদন্ত করে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দিক প্রশাসন।