বাইক দুর্ঘটনায় মৃত্যু তিন যুবকের

দুরন্ত গতিতে চলা দু’টি মোটরবাইকের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষে  মৃত্যু হল তিন বাইক আরোহীর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ফরাক্কা শেষ আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০১৯ ০১:৪৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’-এর এত প্রচারেও হুঁশ ফিরছে না মোটরবাইক চালকদের। মাথায় হেলমেট না থাকার কারণে ফের মারা গেলেন তিন জন।

Advertisement

দুরন্ত গতিতে চলা দু’টি মোটরবাইকের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু হল তিন বাইক আরোহীর। এক বাইক আরোহীকে আশঙ্কাঞ্জনক অবস্থায় কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

শুক্রবার বিকেলে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে ফরাক্কা থানার বল্লালপুরের কাছে ফিডার ক্যানালের পাড়ে ফরাক্কা ব্যারাজের উপরে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত খুসবর শেখের (১৭) বাড়ি ফরাক্কার বল্লালপুরে। ইন্দ্রজিৎ মণ্ডলের (২১) বাড়ি সুতির আমুহা গ্রামে। ইন্দ্রজিতের ভগ্নীপতি হিরু সিংহ (২৪) শমসেরগঞ্জের নিমতিতার বাসিন্দা।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন নিজের মোটরবাইক চালিয়ে একাই বল্লালপুরে বাড়ি ফিরছিলেন খুসবর। ফরাক্কার দিক থেকে একটি বাইকে আসছিলেন ৩ জন। বাইকটি নিমতিতার হরি সিংহের। তিনিই চালাচ্ছিলেন। পিছনে বসেছিলেন তাঁরই শ্যালক ইন্দ্রজিৎ ও হিরুর বন্ধু মদন মণ্ডল। কারও মাথাতেই হেলমেট ছিল না। ফাঁকা রাস্তায় দুটি বাইকেরই গতিও ছিল বেশি।

দুর্ঘটনার বিকট শব্দে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরাই সবাইকে প্রথমে তারাপুর কেন্দ্রীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। খুসবরকে সেখানেই মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। অন্য তিন জনকে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় ইন্দ্রজিতের। হাসপাতালে ভর্তির আধ ঘণ্টার মধ্যেই মারা যান হিরু। গুরুতর জখম বছর তিরিশের মদনকে রাতেই কলকাতার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

খুসবরের আত্মীয় জামাল শেখ জানান, বাইক নিয়ে কখন যে খুবসবর বেরিয়েছিল বাড়ির কেউই তা জানত না। ছেলের মৃত্যুসংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান তাঁর দিনমজুর বাবা বুলবুল শেখ। ইন্দ্রজিতের কাকা মিঠুন মণ্ডল জানান, ইন্দ্রজিৎ ও তাঁর বাবা সকাল থেকে পেঁয়াজ তোলার কাজ করছিলেন। ভগ্নীপতি হিরুর ফোন পেয়ে জমি থেকে উঠে যান।

মিঠুন বলেন, “এক সপ্তাহ পরেই ভগ্নীপতির সঙ্গে বাইরে জন খাটতে যাওয়ার কথা ছিল ইন্দ্রজিতের। তার আগেই সব শেষ হয়ে গেল।’’ হিরুর এক আত্মীয় কালু হালদার বলছেন, “ইলেকট্রিক মিস্ত্রির কাজ করে যা পেত তাই দিয়ে সংসার চলত হিরুর। এই দুর্ঘটনা গোটা পরিবারটিকেই পথে বসিয়ে দিল।”

কালু বলছেন, “ওঁদের কারও শরীরের কোথাও কোনও আঘাত নেই। সকলেরই আঘাত মাথায়। হেলমেটগুলো মাথায় থাকলে হয়ত এ ভাবে মরতে হত না তাঁদের!”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন