ভিজিল্যান্স অ্যান্ড মনিটারিং কমিটি

সদস্যপদ যাওয়ার পরে এল জরুরি বৈঠকের চিঠি

এখন সদস্য নয়, এমন ব্যক্তিদেরও ডাকা হল রাজ্যস্তরের ‘ভিজিল্যান্স অ্যান্ড মনিটারিং কমিটি’র বৈঠকে! আগামী ২৬ জুন সল্টলেকের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরে ওই বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানে উপস্থিত বৈঠকে থাকার জন্য ৩৫ জনের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রী, সাংসদ ও বিধায়ক মিলিয়ে ওই তালিকায় নাম রয়েছে ১৪ জনপ্রতিনিধির। বাকিরা প্রশাসনিক ব্যক্তি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ জুন ২০১৫ ০১:২৪
Share:

এখন সদস্য নয়, এমন ব্যক্তিদেরও ডাকা হল রাজ্যস্তরের ‘ভিজিল্যান্স অ্যান্ড মনিটারিং কমিটি’র বৈঠকে!
আগামী ২৬ জুন সল্টলেকের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরে ওই বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানে উপস্থিত বৈঠকে থাকার জন্য ৩৫ জনের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রী, সাংসদ ও বিধায়ক মিলিয়ে ওই তালিকায় নাম রয়েছে ১৪ জনপ্রতিনিধির। বাকিরা প্রশাসনিক ব্যক্তি। ১৪ জনের মধ্যে নাম রয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন দুই সাংসদ দীপা দাশমুন্সি ও মান্নান হোসেনের। তালিকায় অধীর চৌধুরীর নাম রয়েছে রেলের প্রতিমন্ত্রী হিসাবে। রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের যুগ্মসচিব তথা একশো দিনের কাজের প্রকল্পের কমিশনার দিব্যেন্দু সরকারের স্বাক্ষর করা সেই চিঠি পৌঁছে গিয়েছে অধীর চৌধুরী ও মান্নান হোসেন-সহ সকলের কাছে।

Advertisement

এমন আমন্ত্রণপত্রকে পরিহাস করতে ছাড়ছেন না অধীর। হাসির রোল তুলে তিনি বলেন, ‘‘মন্ত্রীত্ব কবেই গিয়েছে। কংগ্রেস এখন সরকারেও নেই। অথচ রাজ্য সরকারের আমন্ত্রণপত্রে রেল প্রতিমন্ত্রী বলে উল্লেখ করা হয়েছে। যাঁরা এই খবরটুকু রাখেন না, তাঁরা কী করে কেন্দ্রের দেওয়া টাকায় রাজ্যের উন্নয়ন বা দুর্নীতির হদিশ রাখবেন?’’

মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রের প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ দলবদলিয়ে এখন জেলা তৃণমূলের সভাপতি। তিনিও আমন্ত্রণপত্র পেয়েছেন। মান্নান হোসেন বলেন, ‘‘নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ছাড়া দলীয় কোনও ব্যক্তি ওই কমিটির সদস্য থাকতে পারেন না বা বৈঠকে থাকতে পারেন না। ফলে চিঠি পেলেও ওই বৈঠকে যাব না। না জেনে ভুল করে ওই চিঠি পাঠানো হয়েছে।’’

Advertisement

ভুলের কথা অবশ্য অকপটে মেনেছেন রাজ্য পঞ্চায়েত ও গ্রমোন্নয়ন দফতরের যুগ্ম সচিব দিব্যেন্দু সরকার। তিনি বলেন, ‘‘২০১১ সালে গঠিত রাজ্যস্তরের ভিজিল্যান্স অ্যান্ড মনিটারিং কমিটির সদস্যদের কয়েক জন ২০১৪ সালে পুনর্গঠিত কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন। ভুল করে ২০১১ সালের কমিটির সদস্য তালিকা থেকে আমন্ত্রণ করা হয়েছে। পরে ভুল স্বীকার করে নতুন ভাবে সবাইকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।’’ সেই চিঠি অবশ্য এখনও কারও কাছে পৌঁছয়নি বলে খবর।

কেন্দ্রীয় সরকারের যে সব প্রকল্প রূপায়ন ও দেখভাল করে রাজ্য সরকার, সেই সব প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি ও দুর্নীতি-সহ বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখতে রাজ্যস্তরের ও জেলাস্তরের পৃথক পৃথক ভিজিল্যান্স অ্যান্ড মনিটারিং কমিটি গঠন করা হয়। বিধি অনুসারে ওই কমিটির বছরে অন্তত ৪টি বৈঠক করার কথা।

এর আগে মুর্শিদাবাদ জেলা ‘ভিজিল্যান্স অ্যান্ড মনিটারিং কমিটি’র সভাপতি ছিলেন জঙ্গিপুরের তৎকালীন সংস দ প্রণব মুখোপাধ্যায়। তিনি রাষ্ট্রপতি হওয়ায় বছর চারেক ধরে ওই কমিটির সভাপতি রয়েছেন বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী। কমিটির অন্তত বছরে ৪টি মিটিং করতে হয় শুনে কটাক্ষ করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। তিনি বলেন, ‘‘গত ৪ বছরে এই জেলা কমিটির একটি বৈঠকও হয়নি। অথচ রাজ্য কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছে, যা হাস্যকর। কারণ, জেলা কমিটির পেশ করা রিপোর্ট নিয়ে রাজ্য কমিটিতে পর্যালোচনা করা হয়। ফলে কীসের বৈঠক?’’

তা শুনে কমিশনার দিব্যেন্দু সরকার বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement