গত পঞ্চায়েত ভোটে বেলডাঙা ২ পঞ্চায়েত সমিতিতে ক্ষমতায় আসে বামফ্রন্ট। ২০১৪ সালের শেষে প্রাক্তন বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের আট অনুগামীর সমর্থনে বামকে সরিয়ে ক্ষমতা দখল করে কংগ্রেস। কিন্তু বুধবার কংগ্রেস ও বামেরা হাত মিলিয়ে হুমায়ুন কবীরের অনুগামী পাঁচ কর্মাধ্যক্ষকে ক্ষমতাচ্যুত করল। এ দিন দুপুরে বেলডাঙা ২ পঞ্চায়েত সমিতির অনাস্থা প্রস্তাব পাশ হয়।
পঞ্চায়েত সমিতির পাঁচ কর্মাধ্যক্ষ ও স্থায়ী সমিতির যৌথভাবে এই বাম ও কংগ্রেসের জোট অনাস্থা আনে। বুধবার ছিল তলবি সভা। ৩৩ আসনের এই সমিতিতে এলাকার সব জনপ্রতিনিধি মিলে ৪৯ জন ভোটার আছেন। দিন তার মধ্যে ৩৪ জন উপস্থিত ছিলেন। তবে হুমায়ুন কবীরের অনুগামীরা সভায় উপস্থিত ছিলেন না। ফলে এক পক্ষের উপস্থিতিতে অনাস্থা প্রস্তাব পাশ হয়। পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি কংগ্রেসের ইন্দ্রনীল প্রামাণিক বলেন, ‘‘কংগ্রেস ও সিপিএমের ২৩ জন সদস্য, বর্তমান পাঁচ কর্মাধ্যক্ষ যথাক্রমে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, ত্রাণ, খাদ্য ও বিদ্যুৎ দফতরের দায়িত্বে আছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হয়। এ দিন তাঁরা অপসারিত হন।’’
বিরোধী শিবিরের পক্ষে হুমায়ুন কবীরের কথায়, ‘আজকের ভোটাভুটির আগে আমরা সংখ্যাটা জানতাম। ফলে ভোটাভুটিতে যোগ দিইনি। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নুরবানু খাতুন আমার শিবিরে আছে। ফলে যতই জোট হোক মূল ক্ষমতা আমাদের হাতেই থাকবে।’’ তবে এলাকায় উন্নয়নের স্বার্থে পঞ্চায়েত সমিতিতে বিরোধীতার আসনে বসবেন বলে তিনি জানান।
তিনি আরও বলেন, ‘‘২০১৩ বামফ্রন্ট ক্ষমতায় আসে। তাদের ক্ষমতাচ্যুত করতে আমার অনুগামীদের হাত ধরে কংগ্রেস। আমরা দুই শক্তি মিলে তাদের সরিয়ে দিই। কিন্তু গত ভোটে নতুন বন্ধু পায় কংগ্রেস। তারা এখন তাদের হাত ধরেছে।’’