Beldanga

সিনেমা হলগুলি সব বন্ধ, উদ্‌যাপনে সব রাস্তা মিশল পার্কে

শনিবার ইদে রাস্তায় ভিড় ছিল। রবিবার সকাল থেকে কমবয়সি ছেলেমেয়েরা রাস্তায় বেরোয়। কিন্তু গোটা দিনটা কাটাবে কোথায় তারা! বেলডাঙায় বর্তমানে একটিও সিনেমাহল নেই।

Advertisement

সেবাব্রত মুখোপাধ্যায়

বেলডাঙা শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৩ ১০:০৬
Share:

আগে ছিল সিনেমা হল (বাঁদিকে), এখন সেখানেই নতুন নির্মাণ। নিজস্ব চিত্র

কয়েক বছর আগেও ছবিটা একটু অন্যরকম ছিল। ইদ বা অন্য কোনও উৎসবে দল বেঁধে, নতুন পোশাক পরে, সেজেগুজে সকলে ভিড় করতেন পাড়ার কোনও সিনেমা হলে। ম্যাটিনি বা ইভনিং শোয়ে সিনেমা দেখে, কব্জি ডুবিয়ে খাওয়াদাওয়ার পর ঘরে ঢুকতেন তাঁরা। কিন্তু স্মার্টফোন, ইউটিউবের যুগে একে একে বন্ধ হয়ে গিয়েছে সিঙ্গল স্ক্রিন সিনেমা হলগুলি। শহর এলাকায় গজিয়ে ওঠা মাল্টিপ্লেক্সে বিত্তবানরা ভিড় করেন। আর মধ্যবিত্ত? নাহ, উৎসবের দিনগুলি তাঁদের আর সিনেমা দেখে কাটানোর উপায় নেই। তাঁদের কেউ দিনটা হোটেল, রেস্তরাঁয় খেয়ে কাটালেন, আর যাঁদের উৎসাহ আরেকটু বেশি, তাঁরা স্থানীয় কোনও পার্ক বা বিনোদন পার্কে ঢুঁ মেরেছেন।

Advertisement

শনিবার ইদে রাস্তায় ভিড় ছিল। রবিবার সকাল থেকে কমবয়সি ছেলেমেয়েরা রাস্তায় বেরোয়। কিন্তু গোটা দিনটা কাটাবে কোথায় তারা! বেলডাঙায় বর্তমানে একটিও সিনেমাহল নেই। মাল্টিপ্লেক্সও গড়ে ওঠেনি। কয়েক বছর আগেও বেলডাঙায় ইদের দিন বা ইদের পরদিন সিনেমা হলগুলির বাইরে দর্শকদের লম্বা লাইন চোখে পড়ত। ইদের দিন নতুন সিনেমা মুক্তি পেত। সেই সিনেমার পোস্টার হলের সামনে ঝোলানো থাকত। আগে থেকে টিকিট বুক না করে রাখলে বিফল হয়েই ফিরতে হত, এতটাই সিনেমা দেখা নিয়ে উন্মাদনা থাকত সকলের। কয়েক দিন সিনেমা হাউসফুল থাকত। বেলডাঙায় অনেকগুলো সিনেমা হল রমরম করে চলত সেই সময়। তার মধ্যে চারটি নিয়ে স্মৃতিমেদুর হয়ে পড়লেন অনেকেই। সেই চারটির মধ্যে অন্যতম ‘মিতালি’ হল। ‘গন্ধেশ্বরী’, ‘রানি’ ও ‘শ্রীকৃষ্ণ টকিজ়’-এরও অস্তিত্ব নেই এখন। সে সব ভেঙে এখন তৈরি হচ্ছে বহুতল। কোথাও হচ্ছে শপিং মল। উৎসবের দিনে বেলডাঙার বাসিন্দাদের একমাত্র গন্তব্য এখন বেলডাঙা পুরসভার ‘পৌর উদ্যান’। বেলডাঙা রেল স্টেশনের কাছে এই উদ্যানে শনি ও রবিবার প্রচুর মানুষ ভিড় করেছিলেন। পুরসভা সূত্রে খবর, পুরসভা উদ্যানে পরিচ্ছন্ন বাগান, ছোট জলাশয়, ফোয়ারা ছাড়াও ছোটদের জন্য বিভিন্ন রাইড রয়েছে। রয়েছে একটা ‘ভূত-ঘর’। পার্কের প্রবেশমূল্য ২০ টাকা। ভূত-ঘরে ঢুকতে ২০ টাকার আলাদা টিকিট কাটতে হবে। ছোটদের বিভিন্ন রাইডের আলাদা টিকিট। উৎসবের দিনে সকাল ১০ থেকে সন্ধ্যা ৭.৩০ পর্যন্ত উদ্যান খুলে রাখা হচ্ছে। সাধারণ দিনে পুরসভা উদ্যানে যে পরিমাণ টিকিট বিক্রি হয়, গত দু’দিনে তার চেয়ে অনেক বেশি টিকিট বিক্রি হয়েছে। বেলডাঙার উপ পুরপ্রধান আবু সুফিয়ান মণ্ডল বলেন, “পুরসভার উদ্যানে ভিড় ভালই হয়েছে। দূর-দূরান্ত থেকে সকলে এসেছেন।’’ দু’দিনে প্রায় লক্ষাধিক টাকার টিকিট বিক্রি হয়েছে বলে খবর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন