Satyen Chowdhury Murder

তৃণমূল নেতা খুনে তেহট্টে ধৃত যুবক

জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানান, সত্যেন চৌধুরী খুনের ঘটনার দিনই সিসিটিভির ফুটেজ দেখে তিন অভিযুক্তকে চিহ্নিত করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বহরমপুর শেষ আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০২৪ ০৮:৩৬
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

বহরমপুরে তৃণমূল নেতা সত্যেন চৌধুরী খুনের ঘটনায় এক যুবক গ্রেফতার হল। বৃহস্পতিবার রাতে নদিয়ার তেহট্টের বিনোদনগর থেকে ২৮ বছর বয়সি ওই যুবককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ধৃতের নাম মোস্তফা মণ্ডল। তার বাড়ি বিনোদনগরেই। ধৃতকে শুক্রবার বহরমপুরে মুখ্য বিচার বিভাগীয় বিচারকের এজলাসে তোলা হলে বিচারক ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, আগেই এই খুনের ঘটনায় তিন জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। খুনের আগে এবং খুনের ঘটনার পরে অভিযুক্তদের সঙ্গে মোস্তফার যোগাযোগ ছিল। পুলিশের দাবি, সত্যেনকে খুন করে ওই তিন জন মোস্তফার আশ্রয়ে ছিল। মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার সূর্যপ্রতাপ যাদব বলেন, ‘‘এই খুনের ঘটনায় এক লিঙ্কম্যান গ্রেফতার হয়েছে। খুনের আগে ও পরে ধৃতের সঙ্গে খুনিদের যোগাযোগ ছিল। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’’

জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানান, সত্যেন চৌধুরী খুনের ঘটনার দিনই সিসিটিভির ফুটেজ দেখে তিন অভিযুক্তকে চিহ্নিত করা হয়েছে। পরে তদন্তে নেমে তেহট্টের মোস্তফা মণ্ডলের খোঁজ পাওয়া যায়। কলা ব্যবসায়ী মোস্তফার বহরমপুরেও যাতয়াত ছিল। তিন অভিযুক্তর সঙ্গে মোস্তফার খুনের ঘটনার আগে তথ্যের আদানপ্রদান হয়েছে। ফোনে কথাও হয়েছে। এ ছাড়া খুন করে পালিয়ে গিয়ে মোস্তফার আশ্রয় ছিল ওই তিন খুনি। বহরমপুরের অন্য কারও সঙ্গে কিংবা সত্যেন চৌধুরীর সঙ্গে মোস্তফার কোনও সম্পর্ক ছিল কি না, সে বিষয়ে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পুলিশের ধারণা, কারও ইশারায় সুপারি কিলার হিসেবে খুনি তিন জন কাজ করেছে। সেই সঙ্গে লিঙ্ক ম্যানের ভূমিকায় ছিল মোস্তফা। কার ইশারায় এই খুন তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

Advertisement

গত রবিবার ভর দুপুরে বহরমপুরের চালতিয়ার তৃণমূল নেতা সত্যেন চৌধুরী নিজের নির্মীয়মাণ আবাসনে আততায়ীর গুলিতে খুন হন। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ জানতে পেরেছে তিন যুবক সত্যেনকে খুন করে মোটরবাইকে করে ভাকুড়ি হয়ে হরিহরপাড়ার দিকে পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার সময় তিন অভিযুক্ত সত্যেন চৌধুরী মোবাইল ফোন দু’টি নিয়ে যায়। পুলিশের দাবি, খুন করে পালিয়ে গিয়ে তেহট্টে মোস্তফার আশ্রয়ে ছিল ওই তিন অভিযুক্ত। পরে সেখান থেকে তারা গা ঢাকা দিয়েছে। পুলিশের ধারণা, ওই তিন অভিযুক্ত ভিন্ রাজ্যে পালিয়ে যেতে পারে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন