আরও একটা দিন চলে গেল। কিন্তু অধরাই থেকে গেল শান্তিপুর কলেজ কাণ্ডের মূল পান্ডা মনোজ সরকার।
পুলিশের দাবি, মনোজের খোঁজ নেই। অথচ তৃণমূল সূত্রেই খবর, এই মুহূর্তে শান্তিপুরে না থাকলেও মনোজ আছেন আশপাশেই। মঙ্গলবার তাঁকে একাধিক বার রানাঘাট এলাকায় দেখা গিয়েছে। দেখা গিয়েছে রানাঘাট আদালত চত্বরেও। আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করতে মনোজ সেখানে গিয়েছিলেন বলে তাঁরা মনে করছেন।
রানাঘাট আদালতের এক্তিয়ারের মধ্যেই পড়ে শান্তিপুর। মনোজ যদি গ্রেফতার হন, তাঁকে এই আদালতেই হাজির করা হবে। তাঁর আইনজীবীরা এখানেই জামিনের আবেদন করবেন। আত্মসমর্পণ করতে চাইলে অবশ্য তিনি কৃষ্ণনগরে আদালতে গিয়েও তা করতে পারেন।
গত সোমবার ২০-২২ জন যুবক শান্তিপুর কলেজের স্টাফরুমে ঢুকে অঙ্কের শিক্ষক অমরজিৎ কুণ্ডুকে শুধু মারধরই করেনি, তাঁর সামনে পিস্তল ধরে খুনের হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরে অধ্যক্ষের ঘরে রাখা সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে এদের অনেককেই শাসাতে দেখা যায়। এই নিয়ে হইচই শুরু হওয়ার পর
থেকেই মনোজ বেপাত্তা। তাঁর শাগরেদদেরও দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। নিরাপত্তা বাড়াতে মঙ্গলবারই কলেজে আরও চারটি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়। সেই সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে।
গত বুধবারই মনোজ মোবাইল ফোনে জানিয়েছিলেন, দু’এক দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণ করতে পারেন তিনি। পুলিশের তরফেও তাঁকে ধরার তেমন দেখা যাচ্ছে না। তা হলে কি শাসকের চাপে তাঁর আত্মসমর্পণের রাস্তা প্রশস্ত করার চেষ্টা করছে পুলিশ — প্রশ্ন তুলছেন বিরোধী নেতারা।
শুক্রবার জেলা তৃণমূল সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্ত অবশ্য বলেন, “আগে তো পুলিশের তদন্তে প্রমাণ হোক, মনোজ ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ছিল। তার নামে তো কোনও অভিযোগ নেই।”