জেলার হৃদয়ে কংগ্রেস: অধীর

ভিড় দেখে অধীরবাবু বলেন, ‘‘হৃদয়ে লেখা নাম কখনও মুছে যায় না।’’ তাঁর কথায়, কংগ্রেসে থাকলে টাকা-পয়সা লুঠ করা যাবে না। তাই কংগ্রেসের প্রতীকে জয়ী হওয়ার পরে একের পর এক পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সদস্যরা শাসক দলে যোগ দিয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

লালবাগ শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০০:০১
Share:

ভিড়: বৃষ্টি উপেক্ষা করে জমল সভা। —নিজস্ব চিত্র।

জনপ্রতিনিধিরা দল ছেড়ে গেলেও কর্মী-সমর্থকেরা এখনও কংগ্রেসের সঙ্গে রয়েছেন। জেলা কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর কথার প্রমাণ মিলল শুক্রবার লালবাগের সভায়। এ দিন বিকেলে লালবাগের কাপাসডাঙা পঞ্চায়েতের জাফরাবাদ বড় বটতলা মোড়ে ছিল কংগ্রেসের সভা। বৃষ্টি উপেক্ষা করে ওই সভায় কয়েক হাজার মানুষ জেলা কংগ্রেস সভাপতির কথা শুনতে হাজির হন। অন্য দিকে, মহিলাদের ভিড় ছিল বিভিন্ন বাড়ির ছাদে।

Advertisement

এ দিনের ভিড় দেখে অধীরবাবু বলেন, ‘‘হৃদয়ে লেখা নাম কখনও মুছে যায় না।’’ তাঁর কথায়, কংগ্রেসে থাকলে টাকা-পয়সা লুঠ করা যাবে না। তাই কংগ্রেসের প্রতীকে জয়ী হওয়ার পরে একের পর এক পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সদস্যরা শাসক দলে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু নেতারা চলে গেলও কর্মী-সমর্থকরা যে কংগ্রেসের সঙ্গে রয়েছেন, এ দিনের সভার ভিড় সে কথায় বলছে।

যদিও ওই সভা বানচালের চেষ্টা করে বলে তৃণমূলের লোকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। সে কথা জানিয়ে অধীরবাবু বলেন, ‘‘বিভিন্ন বাধা-বিপত্তিকে উপেক্ষা করে সভার আয়োজন করেছেন এলাকার কংগ্রেস নেতৃত্ব। তার মধ্যে বৃষ্টি পড়তে দেখে তৃণমূলের লোকজন সভায় লোক হবে না ভেবে আনন্দে ছিলেন। কিন্তু তাঁদের সমস্ত ভাবনাকে ভুল প্রমাণ করে এলাকার মানুষ দেখিয়ে দিল তাঁরা কংগ্রেসের সঙ্গে ছিলেন এবং আগামী দিন থাকবেন।’’ এ দিন জেলাপ্রশাসনিক ও জেলা পুলিশ প্রশাসনের কর্তাদের সমালোচনা করে অধীর জানান, তাঁরা এখন জেলা তৃণমূলের জেলা ও ব্লক স্তরের কর্মী হিসেবে কাজ করছেন। শাসক দলের কাজিয়া থামানো থেকে কংগ্রেস দল ভাঙানোর কাজে তাঁরা সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করেছেন।

Advertisement

গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে কাপাসডাঙা পঞ্চায়েতে কংগ্রেস ৬, সিপিএম ৭, ফরওয়ার্ড ব্লক ৩ এবং তৃণমূল ১টি আসন পায়। পরে সিপিএমের এবং ফরওয়ার্ড ব্লকের এক জন করে দু’জন ছাড়া বাকি সকলেই তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় পঞ্চায়েত দখল করে শাসকদল। এ প্রসঙ্গে মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রের কংগ্রেস বিধায়ক শাওনী সিংহ রায় বলেন, ‘‘উন্নয়নের কথা বলে দলত্যাগ করার পরেও তাঁরা কোনও উন্নয়ন করতে পারেননি। এ দিকে অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বে বহরমপুর ও মুর্শিদাবাদ পুরসভার উন্নয়ন ধার করে দেখাতে হচ্ছে। মুর্শিদাবাদ জেলাপরিষদের অস্তিত্ব আছে কি না, এখন টের পাওয়া যায় না। আসলে উন্নয়ন নয়, তারা অর্থ লুঠ করতে গিয়েছে। তাই উন্নয়ন চোখে পড়ছে না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন