ব্লক অফিসে ষষ্ঠী। নিজস্ব চিত্র
সরকারি খাতায় মৃতই ছিলেন সুতির বংশবাটির ষষ্ঠী মাঝি। কিন্তু আনন্দবাজারে তাঁর জীবীত থাকার খবর প্রকাশ হতেই বদলে গেল সব।
মঙ্গলবার অফিসে ডেকে পাঠিয়ে সব নথিপত্র জমা নিলেন সুতি-১ ব্লকের যুগ্ম বিডিও। আশ্বাসও মিলল তাকে ফের বার্ধক্য ভাতার টাকা পাইয়ে দেওয়ার।
লাঠিতে ভর দিয়ে অফিস থেকে বেরিয়ে ষষ্ঠীবাবু বললেন, “গত তিন বছরে বহুবার অফিসে এসেছি । কিন্তু ঘরে ঢুকতেই দূর-দূর করে তাড়িয়ে দিয়েছেন সকলেই। আজ চেয়ারে বসতে পেলাম। এত সম্মান কখনও পাইনি।” মঙ্গলবার সাত সকালেই কাগজে তাঁর খবর দেখে তড়িঘড়ি বংশবাটি পঞ্চায়েতের প্রধানকে দিয়ে খবর পাঠিয়ে ব্লক আফিসে ডাকা
হয় ষষ্ঠীবাবুকে।
বছর সত্তরের অশক্ত শরীরে লাঠিতে ভর দিয়ে ছেলেকে সঙ্গে নিয়েই অটোতে চড়ে হাজির হন আহিরণে সুতি-১ ব্লক অফিসে।
কম্পিউটারের নথি খতিয়ে দেখা হয় ভুলটা কোথায়। অফিসের কর্মীদের ব্যাখ্যা, বার্ধক্য ভাতার সমীক্ষা করতে ব্লক অফিসের কর্মীরা বংশবাটিতে গেলে সম্ভবত তাঁর দেখা পাননি। সম্ভবত সেই কারণেই ভুল হয়েছে।