নাবালিকা বিয়ে রুখতে কন্যাশ্রী-সহ নানা প্রকল্প রয়েছে। তবুও জেলায় নাবালিকা বিয়ের বিরাম নেই।
শুক্রবারই অষ্টম শ্রেণির এক নাবালিকার বিয়ের দিন ছিল। বিষয়টি নজরে আসতেই বিডিও এবং পুলিশ বৃহস্পতিবার ওই নাবালিকার বাড়িতে যায়। পরিবারের লোকজনকে বুঝিয়ে বলেন। তাতে ওই নাবালিকার পরিবার বিয়ে বন্ধ রাখতে সম্মত হন। বেথুয়াডহরি কলেজপাড়ার এই ঘটনায় প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘‘সরকারি নানা সুবিধা সত্ত্বেও কেন বার বার এমনটা ঘটছে, তা খুঁজে বার করতে হবে।’’
বেথুয়াডহরি গার্লস হাই স্কুলের ওই ছাত্রীর সঙ্গে স্থানীয় শরৎপল্লীর এক যুবকের বিয়ের ঠিক হয়েছিল। এলাকার লোকজনের কাছ থেকে নাকাশিপাড়ার বিডিও সমর দত্ত বিষয়টি জানতে পারেন। বৃহস্পতিবার রাতেই পুলিশ নিয়ে ওই নাবালিকার বাড়িতে হাজির হন সমরবাবু। মেয়ের মা বাবাকে বুঝিয়ে তিনি বিয়ে বন্ধ করেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বছর প্রায় ৬০০০ নাবালিকার বিয়ে হয়েছে। বিয়ে রোখা গিয়েছে গুটিকতক। চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত মাত্র ৮৫টি নাবালিকা বিয়ে বন্ধ করা গিয়েছে।
জেলা শিশু সুরক্ষা আধিকারিক অনিন্দ্য দাস বলেন, “নাবালিকা বিয়ের খবর পেলেই পদক্ষেপ করি।’’ কিন্তু তাতে যে কাজের কাজ তেমন হচ্ছে না, পরিসংখ্যানই তা বলে দিচ্ছে।