ফের বোমা বিস্ফোরণ। এবং ঘটনাস্থল সেই সগুনা। তবে এ বারের বিস্ফোরণে প্রাণ গেল এক জনের। জখম বেশ কয়েকজন। তার মধ্যে দু’জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বৃহস্পতিবার গভীর রাতের ওই ঘটনায় নাম জড়িয়েছে শাসক দলের।
পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন বোমা ফেটে মৃত্যু হয়েছে অরিজিৎ বসু (২৭) নামে এক সমাজবিরোধীর। তাপস দাস এবং গোপাল দাস নামে আরও দুই দুষ্কৃতী গুরুতর জখম। অভিযোগ, কল্যাণীর সগুনার একটি বিস্তীর্ণ এলাকা সমাজবিরোধীদের মুক্তাঞ্চল হয়ে উঠেছে। এর আগেও একাধিক বার বোমা মিলেছে। বছর দুয়েক আগে সগুনার লিচুতলায় এক প্রাথমিক স্কুল সংলগ্ন মাঠে তাজা বোমা মিলেছিল। মাস কয়েক বাদে সেই স্কুলের পাশে একটি ক্লাবেও মিলেছিল প্রচুর বোমা এবং অস্ত্র। সেই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছিল কুখ্যাত দুষ্কৃতী প্রশান্ত বিশ্বাসকে। বৃহস্পতিবার রাত দু’টো নাগাদ ফের সেই স্কুলের মাঠেই ঘটল বোমা বিস্ফোরণ। এই ঘটনায় নাম জড়িয়েছে প্রশান্তর সাগরেদ রাজীব দাসের। মাস কয়েক আগে প্রচুরা আগ্নেয়াস্ত্র, বোমা ও গুলি-সহ রাজীবকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সম্প্রতি সে জামিনে ছাড়া পেয়েছে। বৃহস্পতিবারের ঘটনায় তারই দলবল জড়িত বলে পুলিশ জেনেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন রাত দু’টো নাগাদ প্রচণ্ড শব্দে কেঁপে ওঠে ১ নম্বর লিচুতলা এলাকা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রাথমিক স্কুলের মাঠে রক্তাক্ত অবস্থায় কয়েকজনকে কাতরাতে দেখেছেন। ছুটে পালায় আরও কয়েক জন। খবর পেয়ে পুলিশ তিন জনকে জখম অবস্থায় কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই চিকিৎসকেরা অরিজিৎকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তাপসের দু’হাতের আঙুল উড়ে গিয়েছে। গোপালের শরীরের ৪০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে। ঘটনার পরে ২৪ ঘণ্টা কেটে গেলেও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। রাজীবের দলই যে এই ঘটনায় জড়িত সে বিষয়ে পুলিশ নিশ্চিত। তার সঙ্গে শাসক দলের যোগাযোগ রয়েছে বলে অভিযোগ সিপিএমের। তৃণমূল অবশ্য সে অভিযোগ অস্বীকার করেছে। কল্যাণী শহর তৃণমূলের সভাপতি অরূপ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরাই পুলিশের কাছে সগুনাকে দুষ্কৃতীমুক্ত করার দাবি জানিয়েছি।’’