রেশনে খারাপ চাল কেন, ক্ষোভ জঙ্গিপুরে

পুজোর আগে রেশনের চালের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠল জঙ্গিপুরে। রেশন দোকানের চাল থেকে দুর্গন্ধ বার হচ্ছে। মিলছে ছোট-বড় জ্যান্ত পোকা। অভিযোগ, গোটা জঙ্গিপুর মহকুমার সব রেশন দোকানেই এমনই নিম্ন মানের চাল দেওয়া হচ্ছে। ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা বিভিন্ন ব্লকের বিডিওদের বিষয়টি জানিয়েছেন। কিন্তু অভিযোগ, কাজের কাজ কিছুই হয়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সুতি শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০১৫ ০০:২৩
Share:

রেশনে দেওয়া সেই চাল। —নিজস্ব চিত্র।

পুজোর আগে রেশনের চালের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠল জঙ্গিপুরে। রেশন দোকানের চাল থেকে দুর্গন্ধ বার হচ্ছে। মিলছে ছোট-বড় জ্যান্ত পোকা। অভিযোগ, গোটা জঙ্গিপুর মহকুমার সব রেশন দোকানেই এমনই নিম্ন মানের চাল দেওয়া হচ্ছে। ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা বিভিন্ন ব্লকের বিডিওদের বিষয়টি জানিয়েছেন। কিন্তু অভিযোগ, কাজের কাজ কিছুই হয়নি।

Advertisement

বৃহস্পতিবার সুতির আহিরণে ব্লক অফিসে ডান-বাম নির্বিশেষে সব দলের নেতারা বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার হন। তাঁরা বিডিও ও খাদ্য দফতরের পরিদর্শককে অবিলম্বে নিম্ন মানের চাল ফিরিয়ে নিয়ে ভাল চাল দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন। তৃণমূলের জেলা সম্পাদক আশিস ঘোষ বলেন, ‘‘বহু গ্রাহক বিষয়টি আমার গোচরে এনেছেন। পোকা ভর্তি ওই চাল থেকে রীতিমতো দুর্গন্ধ বার হচ্ছে। এই চাল খেলে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়বেন। সর্বদলীয় সভা শেষে বিডিও ও খাদ্য পরিদর্শককে সে চাল দেখানো হয়েছে।’’ ব্লক কংগ্রেস সভাপতি রজত দাস বলেন, ‘‘বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আনা হয়েছে। সমস্যা না মিটলে গ্রাহকদের নিয়ে রেশন দোকানগুলির সামনে বিক্ষোভ দেখান‌ো হবে।’’ সুতির প্রাক্তন বিধায়ক তথা আরএসপির জেলা কৃষক সংগঠনের সম্পাদক জানে আলম মিয়া বলেন, ‘‘বিডিও জোগানদের ওই চালের পরিবর্তে ভাল চাল দিতে বলেছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কাজের কাজ কিছুই হয়নি।’’

ফলে গ্রাহকরা পড়েছেন আতান্তরে। সুতির অতসী মাঝি দু’টাকা কেজি দরে তিন কিলোগ্রাম চাল পেয়েছেন। নিম্ন মানের চাল পেয়ে তিনি রেশন ডিলারের কাছে প্রতিবাদ করেছিলেন। কিন্তু বিশেষ লাভ হয়নি। তাঁর কথায়, ‘‘দোকানদার জানান, কম দামে চাল মিলছে সেটাই বড় কথা। সেই চাল শেষমেশ ছাগলকে খাওয়াতে হচ্ছে।’’ সুতি-১ ব্লকের খাদ্য দফতরের পরিদর্শক অতনু প্রধান বলেন, ‘‘সর্বদলীয় সভায় সব দলের নেতারাই চালের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। চালের মান সত্যিই খারাপ। ‘ডিস্ট্রিবিউটর’-কে ভাল চাল দিতে বলেছি।’’ রেশন ডিলাররা এ ব্যাপারে আপত্তি জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ। সুতির এক রেশন দোকানের মালিক বলেন, ‘‘প্রথমেই আপত্তি জানিয়েছিলাম। কিন্তু কেউ সেই আপত্তি কানে তোলেনি।’’

Advertisement

শুক্রবারের মধ্যে বাজে চালের পরিবর্তে ভাল মানের চাল দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে একাধিক রেশন দোকানের মালিকদের অভিযোগ, শনিবার বিকেলের আসেনি ভাল চাল। ফলে আপাতত পোকাভর্তি চালই নিতে হচ্ছে গ্রাহকদের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন