ভরতপুর

কম ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণ নিয়ে মান্নান, ক্ষোভ দলেই

তুলনায় কম ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় জেলা সভাপতি মান্নান হোসেন কেন ত্রাণ নিয়ে গেলেন তা নিয়ে চাপানউতোর চলল ভরতপুর ১ ব্লকে। এই ব্লকের আলুগ্রাম ও গড্ডা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার আটটি গ্রামের মানুষ জলমগ্ন হয়ে দিন কাটাচ্ছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কান্দি শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০১৫ ০২:২৮
Share:

তুলনায় কম ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় জেলা সভাপতি মান্নান হোসেন কেন ত্রাণ নিয়ে গেলেন তা নিয়ে চাপানউতোর চলল ভরতপুর ১ ব্লকে। এই ব্লকের আলুগ্রাম ও গড্ডা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার আটটি গ্রামের মানুষ জলমগ্ন হয়ে দিন কাটাচ্ছেন। সেই এলাকায় না গিয়ে মান্নান ত্রাণ বোঝাই গাড়ি নিয়ে চলে যান তালগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার গীতগ্রামে। ক্ষোভ সেখানেই। কেমন?

Advertisement

তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সৈয়দ রফিকুল হাসানের প্রশ্ন, “গীতগ্রাম এলাকার বাসিন্দাদের তুলনায় আলুগ্রাম ও গড্ডা এলাকার বাসিন্দারা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সেখানকার মানুষ এখনও জলবন্দি হয়ে রয়েছেন। ওই সব এলাকায় দলের পক্ষ থেকে খিচুরি রান্না করে সরবরাহ করা হচ্ছে। তবুও আমাদের ত্রাণ শিবিরে এক বার দাঁড়িয়ে খোঁজ নেওয়ায় প্রয়োজন মনে করলেন না মান্নানবাবু!”

পরিস্থিতি আঁচ করে গীতগ্রাম এলাকায় গিয়ে দলের কর্মীদের উপরে চটে যান মান্নানবাবু। গীতগ্রামে মান্নান বলেন, “আমার এখানে আসার কোনও প্রয়োজন ছিল না। এখানকার নেতৃত্ব কেন এখানে নিয়ে এল, সেটাও বুঝতে পারছি না।’’ তবে তিনি যে একেবারেই বেশি জলমগ্ন এলাকায় যাননি তা মানেননি মান্নান। তাঁর দাবি, “প্রথমে গীতগ্রামে এসেছি। ফেরার পথে ভরতপুর।”

Advertisement

এ দিন জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদিকা শাহনাজ বেগমও ত্রাণ নিয়ে সালার থানা এলাকার টেয়া ও সংলগ্ন কয়েক’টি গ্রামে যান। তিনি বলেন, “এলাকার অন্তত ৪৫টি পরিবার বিপন্ন। আমরা ওই এলাকার মানুষের হাতে ত্রাণের জিনিস তুলে দিয়েছি।” ওই ব্লকের আঙ্গারপুর এলাকায় ব্লক প্রশাসনের তরফে ত্রাণ শিবিরে রান্না করে জলমগ্ন পরিবারগুলিতে খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে।

কান্দির মহকুমাশাসক বিজিন কৃষ্ণ বলেন, “জল ধীরে ধীরে নামছে। ভরতপুর ১ ব্লক এলাকায় বহু বাসিন্দা এখনও জলবন্দি হয়ে রয়েছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই ব্লকের প্রায় এক হাজার জলবন্দি মানুষকে খাবার পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।’’

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে তিলিপাড়া ব্যারাজ থেকে ১৫ হাজার কিউসেক জল ময়ূরাক্ষী নদীতে জল ছাড়া হয়েছে। বিকেলে ফের ১২ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। এ দিন সালার থেকে ফেরার পথে তিনি আঙ্গারপুর এলাকায় দলীয় ত্রাণ শিবিরে ব্লক নেতৃত্বের সঙ্ঘে দেখা করে বড়ঞা ব্লকের সুন্দরপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের খোঁজখবর নেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন