চুরি রুখতে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ

ব্যবসায়ীদের দীর্ঘ দিনের অভিযোগ— এলাকায় একের পর এক চুরি হলেও পুলিশ হাত গুটিয়ে বসে থাকে! এই কারণে বাধ্য হয়ে তাঁরা রাস্তা অবরোধ করেছেন। তাঁদের শান্তিপূর্ণ অবরোধ তুলতে গিয়ে পুলিশও লাঠিও চালায় বলেও অভিযোগও। লাঠি চালানোর অভিযোগ উড়িয়ে পুলিশের দাবি, চুরির তদন্তে খামতি নেই। ব্যবসায়ী-পুলিশের এই চাপানউতোরে রবিবার দিনভর উত্তপ্ত থাকল সালার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কান্দি শেষ আপডেট: ১৮ মে ২০১৫ ০১:৫৭
Share:

ব্যবসায়ীদের দীর্ঘ দিনের অভিযোগ— এলাকায় একের পর এক চুরি হলেও পুলিশ হাত গুটিয়ে বসে থাকে! এই কারণে বাধ্য হয়ে তাঁরা রাস্তা অবরোধ করেছেন। তাঁদের শান্তিপূর্ণ অবরোধ তুলতে গিয়ে পুলিশও লাঠিও চালায় বলেও অভিযোগও। লাঠি চালানোর অভিযোগ উড়িয়ে পুলিশের দাবি, চুরির তদন্তে খামতি নেই। ব্যবসায়ী-পুলিশের এই চাপানউতোরে রবিবার দিনভর উত্তপ্ত থাকল সালার।

Advertisement

শনিবার রাতে সালারের ‘মামা মার্কেট’-এ সোনার দোকানের সাটার ভেঙে লক্ষাধিক টাকার গয়না লুঠ করে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। রবিবার সকালে দোকানে গিয়ে বিষয়টি নজরে আসে। ফের চুরির ঘটনা চাউর হতেই সালার বাজারের ব্যবসায়ীরা একযোগে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। ব্যবসায়ীদের দাবি, মাস খানেকের মধ্যে ওই এলাকায় একাধিক চুরির ঘটনা ঘটলেও পুলিশ দায়সারা ভাবে তদন্ত করেছে। এ দিন ব্যবসায়ীরা চুরির তদন্তের জন্য প্রশিক্ষিত কুকুর আনার দাবি তোলেন। পুলিশ খানিক পরে কুকুর এনে চুরির ঘটনার তদন্ত শুরু করে। কিন্তু তাতেও ব্যবসায়ীরা সন্তুষ্ট হননি।

পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তোলার পাশাপাশি তাঁরা বাজারের সব দোকানদের নিরাপত্তা সুরক্ষিত করার দাবি জানান। বেলা ১১টা নাগাদ কান্দি-সালার রাজ্য সড়ক অবরোধও করেন। পুলিশের অনুরোধেও ওঠেনি অবরোধ। তারপরই পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠি চালায় বলে অভিযোগ। লাঠির ঘায়ে কয়েক জন ব্যবসায়ী জখমও হন।

Advertisement

সালার বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য গোলাম দস্তগির এলান, আবুল বরকত ও রেন্টু কাজিকে মারধর করে পুলিশ থানায় নিয়ে আসে। তাঁদের আটক করা হয়। পুলিশি মারধরের প্রতিবাদে ব্যবসায়ীরা সালার বাজার এলাকায় প্রতিবাদ মিছিল করেন। পরে পুলিশ আটক তিন ব্যবসায়ীকে ব্যক্তিগত বন্ডে জামিনে মুক্তি দেয়। তারপর ব্যবসায়ীরা বিক্ষোভে ইতি টানেন। ততক্ষণে অবশ্য বিকেল ৫টা বেজে গিয়েছে। এ দিন দিনভর সালার বাজারের সব দোকান বন্ধ ছিল।

সালার ব্যবসায়ী সমিতির আহ্বায়ক চন্দন কাজি বলেন, “পুলিশ উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের উপর লাঠি চালাল। আমরা গণতান্ত্রিক পন্থায় আন্দোলনের মাধ্যমে পুলিশি জুলুমের বিরুদ্ধে সরব হব।’’ স্থানীয় বাসিন্দাদেরও দাবি, মাস ছয়েক ধরে এলাকার একাধিক জাগয়ায় চুরি হয়েছে। পুলিশ কোনও ঘটনারই কিনারা করতে পারেনি।

পুলিশের দাবি, আগের তুলানায় সালার বাজার এলাকায় চুরি কমেছে। কয়েকটি চুরির ঘটনায় কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। জেলার পুলিশ সুপার সি সুধাকর বলেন, “সোনার দোকানে চুরির ঘটনা পুলিশ গুরুত্ব দিয়েই তদন্ত করছে। ব্যবসায়ীদের দাবি ঠিক নয়। পুলিশ কোনও ব্যবসায়ীকে মারধরও করেনি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন