সদ্যোজাত পাল্টে দেওয়ার নালিশ

সদ্যোজাত পাল্টে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বহরমপুরের ইন্দ্রপ্রস্থ এলাকার এক নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। পরে সদ্যোজাতের পরিবারের লোকজন হইচই শুরু করলে আতঙ্কিত হয়ে কিছুক্ষণের মধ্যেই নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ মায়ের কোলে সদ্যোজাতকে ফিরিয়ে দেয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বহরমপুর শেষ আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০০:০৩
Share:

সদ্যোজাত পাল্টে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বহরমপুরের ইন্দ্রপ্রস্থ এলাকার এক নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। পরে সদ্যোজাতের পরিবারের লোকজন হইচই শুরু করলে আতঙ্কিত হয়ে কিছুক্ষণের মধ্যেই নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ মায়ের কোলে সদ্যোজাতকে ফিরিয়ে দেয়।

Advertisement

ওই শিশুর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় বহরমপুরের বাসিন্দা অমৃতা মালাকার মণ্ডল নামে ওই প্রসূতিকে ইন্দ্রপ্রস্থের নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়। স্বামী বীণ মণ্ডল জানান, তাঁর স্ত্রী ভর্তির কিছুক্ষণের মধ্যেই শিশুপুত্রের জন্ম জেন। চার তলায় মায়েদের ঘরের পাশেই অন্য একটা জায়গায় বেবিকটে সদ্যোজাতদের রাখা হয়।

অভিযোগ, এ দিন বাচ্চা অমৃতাকে দেওয়া হয় তা তাঁর বাচ্চা নয় জানান। কিন্তু নার্সরা জোর করে ওই সদ্যোজাতকে সন্তান বলে চালানোর চেষ্টা করে।

Advertisement

এ দিকে নিজের সন্তানকে দেখতে না পেয়ে অমৃতাদেবী হইচই ফেলেদেন। আচমকা শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় সদ্যোজাতকে আইসিইউ বিভাগে নিয়ে যাওয়ার কথা শুনে অমৃতাদেবী নিজের সিঁড়ি ভেঙে চার তলা থেকে দোতলায় আইসিইউ বিভাগে যান। সেখানেও সদ্যোজাতকে দেখতে না পেয়ে ফের চারতলায়
উঠে আসেন।

তবে বীণবাবু বলেন, ‘‘নিজের সন্তানকে দেখতে না পেয়ে স্ত্রীর প্রেসার বেড়ে যায়। কোনও কিছু ঘটে গেলে তার দায় কি নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ নিত!’’ তাঁর অভিযোগ, পরিকাঠামো ছাড়াই নার্সিংহোম চলছে। এ দিকে ওই খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন নার্সিংহোমে গিয়ে হইচই শুরু করেন। তার পরেই নার্স ছ’তলা থেকে ওই সদ্যোজাতকে নিয়ে এসে মায়ের কোলে তুলে দেন। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের সাফাই, ছ’তলায় চিকিৎসকের কাছে শারীরিক পর্যবেক্ষণের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ভুল বোঝাবুঝির কারণেই ওই বিপত্তি ঘটে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন