চাঁদা চেয়ে মার, ধৃত বিজেপি নেতার ছেলে

পুরভোটের চাঁদা দিতে পারবেন না বলায় এক দম্পতি ও তাঁদের কিশোর ছেলেকে মারধর করার অভিযোগে গ্রেফতার হল বিজেপি কর্মী বলে পরিচিত এক যুবক। মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদের সুতির ইছলিপাড়া গ্রামের ওই ঘটনায় ধৃত রানা দাসের বাবা অশোক দাস স্থানীয় বিজেপি নেতা। ফুলটুসি সাহা নামে বছর পঁয়ত্রিশের বধূ জঙ্গিপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সুতি শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০১৫ ০২:৪৮
Share:

পুরভোটের চাঁদা দিতে পারবেন না বলায় এক দম্পতি ও তাঁদের কিশোর ছেলেকে মারধর করার অভিযোগে গ্রেফতার হল বিজেপি কর্মী বলে পরিচিত এক যুবক। মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদের সুতির ইছলিপাড়া গ্রামের ওই ঘটনায় ধৃত রানা দাসের বাবা অশোক দাস স্থানীয় বিজেপি নেতা। ফুলটুসি সাহা নামে বছর পঁয়ত্রিশের বধূ জঙ্গিপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বিজেপি-র স্থানীয় নেতৃত্ব অবশ্য দাবি করেছেন, রানার সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। অশোকবাবুর দাবি, রাজনৈতিক কারণে রানাকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হচ্ছে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রের খবর, ইছলিপাড়ায় প্রকাশ সাহার বাড়িতে এ দিন সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ দলবল নিয়ে হাজির হন বছর পঁচিশের রানা। কাগজের ঠোঙা বিক্রি করে সংসার চালানো প্রকাশবাবুর অভিযোগ, “রানা এসে বলল, ‘সামনে পুরভোট। দলের জন্য ৫০০ টাকা চাঁদা দিতে হবে’। অত টাকা দেওয়া সম্ভব নয় বলতেই লাঠি দিয়ে পেটাতে থাকে আমাকে। প্রতিবাদ করলে ও লাঠির বাড়ি মেরে আমার স্ত্রীর বাঁ হাত ভেঙে দেয়।” ফুলটুসিদেবীর দাবি, “রানা স্বামীকে মারধর করছিল বলে বাধা দিতে যাই। আমরা মার খাচ্ছি দেখে ছুটে এসে আমাদের তেরো বছরের ছেলে রাহুলও রানার হাতে মার খায়।”

হাসপাতাল সূত্রের খবর, ফুলটুসিদেবীর সারা শরীরে চোট আছে। ঘটনার সময় সাহা দম্পতির চিৎকার শুনে পড়শিরা এসে রানাকে ধরে ফেলেন। পরে সুতি থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। পুলিশ সুপার সি সুধাকর জানান, অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বাসিন্দাদের একটা বড় অংশের অভিযোগ, “এলাকায় বিজেপির নাম করে কার্যত তোলাবাজি করে বেড়ায় রানা। ওর বাবা বিজেপির নেতা বলে কেউ কিছু বলার সাহস পায় না।” বিজেপির মুর্শিদাবাদ জেলার (উত্তর) সভাপতি ষষ্ঠীচরণ ঘোষ জানান, রানার বাবা অশোক দাস এক সময় সুতিতে দলের মণ্ডল সভাপতি ছিলেন। তিনি এখন আর সে পদে নেই। ষষ্ঠীচরণবাবুর দাবি, “রানা বিজেপির কেউ নয়। আমাদের দল এ ভাবে জোর করে কারও কাছ থেকে চাঁদাও তোলে না।”

Advertisement

তবে তৃণমূলের সুতি-২ ব্লক সভাপতি ওবাইদুর রহমান বলেন, “গত পঞ্চায়েত ভোটে পঞ্চায়েত সমিতিতে বিজেপি-র প্রার্থী হয়েছিলেন রানা। ঘটনাস্থলের কাছেই আমার বাড়ি। তাই জানি, ওই পরিবারের কাছ থেকে চাঁদার নামে আসলে তোলা চাওয়া হচ্ছিল। প্রতিবাদ করাতেই আক্রমণ করা হয়েছে।” তিনি এবং সুতি ২ ব্লক কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মাসাদুল হক অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তুলেছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন