Congress

ধরা পড়ার ভয়ে ‘নিখোঁজ’ নেতা

জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে খুনের ষড়যন্ত্র মামলায় তাঁর নাম জড়িয়েছে। তার পর থেকে দলের কর্মসূচিতে দেখা যাচ্ছে না বহরমপুর মহকুমা কংগ্রেসের সভাপতি তথা জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি শিলাদিত্য হালদারকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বহরমপুর শেষ আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৬:০৩
Share:

প্রতীকী ছবি

জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে খুনের ষড়যন্ত্র মামলায় তাঁর নাম জড়িয়েছে। তার পর থেকে দলের কর্মসূচিতে দেখা যাচ্ছে না বহরমপুর মহকুমা কংগ্রেসের সভাপতি তথা জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি শিলাদিত্য হালদারকে। পুরভোটের মুখে দলের এমন গুরুত্বপূর্ণ নেতা বেপাত্তা হওয়ায় বিপাকে পড়েছে কংগ্রেস।

Advertisement

এ বারে বহরমপুর মহকুমা এলাকায় থাকা বহরমপুর ও বেলডাঙা পুরসভা এলাকায় পুর নির্বাচন। এমন সময়ে দলের মিটিং-মিছিলে না থেকে তাঁকে গা ঢাকা দিতে হয়েছে। জানা গিয়েছে, তাঁর হাইকোর্টে আগাম জামিনের প্রস্তুতি চলছে। জেলা কংগ্রেসের এক নেতা বলেন, ‘‘দলের কোনও নেতা মিথ্যা মামলার জেরে কর্মসূচিতে থাকতে না পারলে সমস্যা তো হবেই। তবে এ ভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে কংগ্রেসকে দমিয়ে রাখা যাবে না।’’

বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী বুধবার বলেন, ‘‘পুরভোটে তৃণমূলের নেতাদের ভোট লুঠে সাহায্য করতে তাদের পাশে পুলিশ রয়েছে। আর আমাদের নেতাদের পাঁসিয়ে দিয়ে জেলে ভরলে তো পোয়া বারো!’’

Advertisement

বহরমপুরের কংগ্রেস বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘শিলাদিত্য হালদার-সহ বিভিন্ন নেতা-কর্মীকে শাসকদল বারে বারে মিথ্যা মামলা দিচ্ছে, জেলে পুরে দিচ্ছে। যার জেরে শিলাদিত্য-সহ দলের নেতা কর্মীদের রাজনৈতিক ও সাংসারিক জীবন যন্ত্রণাময় হয়ে উঠেছে।’’ প্রসঙ্গত, শিলাদিত্যকে এর আগেও আদালত খুনের মামলা থেকে বেকশুর খালাস দিলেও তাঁকে অন্য মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। জেলা কংগ্রেসের নেতারা বলছেন, ‘‘এ বার পুরভোটে তৃণমূল সরকারের এই মিথ্যা মামলার বিষয়টি তুলে ধরব। মানুষ এর যোগ্য জবাব দেবেন।’’ তবে, জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র অশোক দাস বলেন, ‘‘এই মামলার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। কী ঘটনা ঘটেছে তা পুলিশ প্রশাসন বলতে পারবে।’’

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে বহরমপুরের গোরাবাজার পুলিশ ফাঁড়ির সামনে পুলিশ গাড়ি আটকে তল্লাশি চালাচ্ছিল। সে দিন তল্লাশির সময়ে অস্ত্র-সহ পুলিশ তিন জনকে গ্রেফতার করে। পুলিশের দাবি, তদন্তে জানা গিয়েছে, বহরমপুর শহর লাগোয়া এলাকার এক তৃণমূল নেতাকে খুনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। সে জন্য ওই অস্ত্র আনা হছিল। ধৃতদের কাছ থেকে পুলিশ কংগ্রেস নেতা শিলাদিত্য হালদার ও শ্রীদাম সেনের নাম জানতে পারে বলে জেলা পুলিশের দাবি। এর পরে ওই মামলায় শিলাদিত্য হালদার, শ্রীদাম সেনের নাম যুক্ত করে। মামলার কয়েকদিন পর থেকে বেপাত্তা হয়ে যান শিলাদিত্য ও শ্রীদাম। শিলাদিত্যর সঙ্গে এ দিন ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি।

জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে মামলা করা হয়েছে। ওই মামলায় চারজন গ্রেফতার হয়েছে। বাকিদেরও খোঁজ চলছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন