রেণুকা হত্যায় গ্রেফতার আসাদুল

দুই বোনের বাডির মাঝে এক ফালি পাঁচিল। খড়িবোনা গ্রামে সে দিনের গণ্ডগোলের সূত্রপাত সেই পাঁচিল ঘেঁষে গরু বাঁধা নিয়ে। প্রথমে কথাকাটাকাটি তার পর হাতাহাতি যার সুতোয় জড়িয়ে সন্ধ্যায় একেবারে খুনোখুনি। গরুর দড়ি খুলে ছেড়ে দেওয়া হল কেন? বিবাদটা গড়িয়েছিল রক্তারক্তিতে।

Advertisement

নিজস্ব স‌ংবাদদাতা

বহরমপুর শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০১৭ ০৩:৫৪
Share:

দোর গোড়ায় গরু বাঁধা নিয়ে দুই বোনের ঝগড়া শেষতক খুনোখুনিতে গড়িয়েছিল। বড় বোন রেনুকা বিবিকে খুন করে ছোট বোন শিলারা সপরিবারে পালিয়েছিল বাড়ি বন্ধ করে। পুলিশ অবশ্য সোমবার রাতে পাকড়াও করেছিল শিলারার বাবা-মাকে।

Advertisement

বুধবার দুপুরে লালবাগ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হল তার স্বামী আসাদুল শেখকে। তবে শিলারার খোঁজ নেই। খোঁজ মেলেনি আরও এক অভিযুক্ত হালিম শেখেরও।

দুই বোনের বাডির মাঝে এক ফালি পাঁচিল। খড়িবোনা গ্রামে সে দিনের গণ্ডগোলের সূত্রপাত সেই পাঁচিল ঘেঁষে গরু বাঁধা নিয়ে। প্রথমে কথাকাটাকাটি তার পর হাতাহাতি যার সুতোয় জড়িয়ে সন্ধ্যায় একেবারে খুনোখুনি। গরুর দড়ি খুলে ছেড়ে দেওয়া হল কেন? বিবাদটা গড়িয়েছিল রক্তারক্তিতে।

Advertisement

ওই দিন রাতেই রেনুকা বিবিকে হাসুয়ার কোপে খুন করে আসাদুল। সঙ্গে ছিল শিলারা। তবে তদন্তে নেমে পুলিশ রেয়াত করেনি তাদের বাবা-মা কুদ্দুস শেখ ও মাসুরা বিবিকেও। পুলিশ জানাচ্ছে রেষারেষির পিছনে প্রচ্ছন্ন মদত ছিল তাদেরও। বুধবার লালবাগ মহকুমা আদালত কুদ্দুসকে চারদিনের পুলিশ হেফাজত এবং মাসুরাকে জেল হেফাজতের
নির্দেশ দিয়েছেন।

ওই ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন রেনুকার স্বামী নেমাসুদ্দিন শেখ ও তাঁদের বছর ষোলর ছেলে রিপন শেখ। বর্তমানে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে
তাঁরা চিকিৎসাধীন।

সামান্য পড়শির দেওয়ালে গরু বাঁধা নিয়ে খুন! ঘটনার দু’দিন পরেও বিশ্বাস হচ্ছে না গ্রামের বাসিন্দাদের। ঘটনার পর থেকেই পাশাপাশি দুই বাড়ির দরজা বন্ধ। পুরো পাড়া থমথমে। তার মধ্যে মাঝে মাঝে ঘুরে যাচ্ছে পুলিশের গাড়ি।

তবে এমন ঘটনা মুর্শিদাবাদের আনাচে কানাচে আকছার ঘটে— কখনও উঠোনের তুলসি গাছ ছাগলে মোড়ালো কেন, কখনওবা বেড়া টপকে মুরগি কেন চলে গেল পড়শির উঠোনে, আবার কখনও এক বাড়ির মুরগি অন্য বাড়িতে ডিম কেন পাড়ল তা নিয়ে বিবাদ। সেই বিবাদ ক্রমশ গড়ায় হাতাহাতিতে। শেষতক খুন।

দিন কয়েক আগে কান্দিতে পড়শির পায়ের শব্দে বাড়ি ফেরার পথে এক দল হাঁস ফের পুকুরে নেমে পড়েছিল। তা নিয়েও গোলমাল এবং শেষ পর্যন্ত খুন। পুলিশ জানিয়েছে, বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে সম্ভাব্য সব জায়গায় তল্লাশি চলছে। শীঘ্রই তাদের গ্রেফতার করা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন