কাঠগড়ায় চুপ নিত্যানন্দ দাস

টানা পাঁচ বছর ধরে চলে আসা আশাবরী খুনের মামলার শুনানি শেষ হল শনিবার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বহরমপুর শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০১৯ ০২:৫৪
Share:

বাঁ দিক থেকে নিহত প্রভাদেবী, বিজয়া বসু ও আত্রেয়ী বসু। —ফাইল চিত্র।

কখনও ঝিমিয়ে পড়েছে, কখনও বা সাক্ষীর তীক্ষ্ণ কথায় ফের জেগে উঠেছে ঘুমন্ত মামলা। টানা পাঁচ বছর ধরে চলে আসা আশাবরী খুনের মামলার শুনানি শেষ হল শনিবার।

Advertisement

মুর্শিদাবাদ জেলা দায়রা বিচারক পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি ওই মামলার রায় ঘোষণা করবেন বলে সরকারি আইনজীবী দেবাশিস রায় জানিয়েছেন। ওই আবাসনের ফ্ল্যাটে তিন মহিলা খুনের সাড়া জাগানো মামলায় কী রায় হয় এখন সেই অপেক্ষায় দিন গোনা শুরু হল বহরমপুরের।

শনিবার জেলা বিচারকের আদালতে অভিযুক্ত নিত্যানন্দ দাসের আইনজীবী জয়ন্তনারায়ণ চট্টোপাধ্যায় টানা সওয়াল করে প্রমাণ করার চেষ্টা করেন, তিন মহিলা খুনে আদৌ তাঁর মক্কেল যুক্ত নন। জ্যোতিষী নিত্যানন্দ দাস ‘কালসর্প দোষ’ কাটানোর নামে তিন মহিলাকে যে খুন করেছেন তারও কোনও প্রমাণ নেই বলে তিনি দাবি করেন। তাঁর অভিযোগ, এটা নিতান্তই সরকারি আইনজীবীদের বানানো গল্প। আশাবরী আবাসনের ওই ফ্ল্যাটে আদৌ কোনও যজ্ঞ হয়নি। তাঁর প্রশ্ন, যদি তা হত, তা হলে তদন্তকারী অফিসার তিন মহিলার দেহ উদ্ধারের সময় কেন যজ্ঞের উপকরণ বাজেয়াপ্ত করেননি? কেনই বা এফআইআর-এ তার উল্লেখ নেই? অভিযুক্ত পক্ষের ওই আইনজীবীর দাবি, তিন মহিলা নৃশংস ভাবে খুন হয়েছেন ঠিকই তবে তা নিত্যানন্দই করেছে এমন কোনও প্রমাণ পুলিশের কাছে নেই। মেলেনি তার কোনও সাক্ষ্য প্রমাণও। এর পরে দু’পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে বাদানুবাদ শুরু হয়ে যায়। এ দিন মামলার অভিযোগকারী ইরা মিত্রের আইনজীবী সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের বিভিন্ন মামলার রায় তুলে বিচারকের নির্দেশে আদালতে জমা দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

নিত্যানন্দ দাস।

নিত্যানন্দের আইনজীবীর সওয়ালের পরে সরকারি আইনজীবী দেবাশিস রায় ফের সওয়াল করেন। এর পরেই বিচারক ১৪ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন