গঙ্গার দূষণ রুখতে উদ্যোগ

গঙ্গার বুক আবর্জনায় নয়, ভক্তিতে ভরান— এমনই আবেদন নিয়ে গঙ্গাজলে গঙ্গা পুজোর পাশাপাশি গঙ্গাকে দূষণমুক্ত রাখতে উদ্যোগী হল নবদ্বীপের গৌরগঙ্গা সন্ধ্যারতি সমিতি। প্রায় এক দশক ধরে নবদ্বীপের রানির ঘাটে সমিতির উদ্যোগে গঙ্গারতি হয়ে আসছে। সেই সমিতি এ বার নিত্য গঙ্গারতির পাশাপাশি গঙ্গার দূষণ রুখতে এবং গঙ্গার তীরকে নির্মল রাখতে জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে উদ্যোগী হল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০১৫ ০১:৫৯
Share:

নবদ্বীপে সন্ধ্যারতি।— নিজস্ব চিত্র।

গঙ্গার বুক আবর্জনায় নয়, ভক্তিতে ভরান— এমনই আবেদন নিয়ে গঙ্গাজলে গঙ্গা পুজোর পাশাপাশি গঙ্গাকে দূষণমুক্ত রাখতে উদ্যোগী হল নবদ্বীপের গৌরগঙ্গা সন্ধ্যারতি সমিতি।
প্রায় এক দশক ধরে নবদ্বীপের রানির ঘাটে সমিতির উদ্যোগে গঙ্গারতি হয়ে আসছে। সেই সমিতি এ বার নিত্য গঙ্গারতির পাশাপাশি গঙ্গার দূষণ রুখতে এবং গঙ্গার তীরকে নির্মল রাখতে জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে উদ্যোগী হল। গঙ্গারতির দশম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সমিতি সম্প্রতি রানির ঘাটে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ওই দিন সমিতির সদস্য, এলাকার বাসিন্দা, শহরের বিশিষ্ট নাগরিক এবং নবদ্বীপের বিভিন্ন মঠ মন্দিরের প্রধানেরা গঙ্গা ঘাট সাফাই অভিযানে হাজির ছিলেন।

Advertisement

সমিতির তরফে জানানো হয়েছে, গঙ্গা আরতির সময়ে নদীর জলে অল্প কিছু অংশে মশারির নেট দিয়ে ঘিরে তার মধ্যে পুজোর ফুল বেলপাতা ফেলা হয়। পুজো শেষ ওই সব সামগ্রী জল থেকে তুলে বাইরে ফেলে দেওয়া হয়। উদ্যোক্তাদের অনুরোধ, ভক্তেরা গঙ্গারতির পরে নদীতে প্রদীপ ভাসানোর সময়ে তাঁরা যেন থার্মোকল বা ওই জাতীয় কোন জিনিস ব্যবহার না করেন। প্রথা মতো গঙ্গার জলে মরা তুলসী গাছ, পুজোর ফুল বেলপাতা না ফেলেন। বৈষ্ণবতীর্থ নবদ্বীপের ঘাটে গঙ্গারতির স্থানটি আগামী দিনে যাতে পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে, সে জন্যে পুরসভার কাছে একটি স্থায়ী আরতি স্থল তৈরির আবেদন জানানো হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement