শাসক দলের সন্ত্রাসের ভূরি-ভূরি অভিযোগের মধ্যেই উল্টো অভিযোগ উঠল তেহট্টে। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তাদের কর্মীদের মারধরের অভিযোগ তুলল তৃণমূল। দু’দিন আগে হাঁসখালিতেও একই অভিযোগ তুলেছিল তৃণমূল। তবে সেখানে বাম, কংগ্রেস, বিজেপি একযোগে হামলা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ ছিল।
বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটে তেহট্টের বিনোদনগরে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুই পক্ষের মধ্যে গন্ডগোলে তৃণমূলের মহাদেব হালদার-সহ ছ’জন আহত হয়েছেন। তাঁদের তেহট্ট হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে দু’জনকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জখম এক জনের আত্মীয় সনাতন হালদার অভিযোগ করেছেন, ওই সন্ধ্যায় ভোটের প্রচারের জন্য তৃণমূল কর্মীরা কৃত্তিবাস হালদারের বাড়িতে গিয়ে জড়ো হয়েছিলেন। সেই সময়ে কংগ্রেসের জগন্নাথ হালদার দলবল নিয়ে চড়াও হয়। লাঠি, রড ও হাঁসুয়া নিয়ে আক্রমণ করে তারা। অনেকেই হাতে-মাথায় চোট পান। মহাদেব ও কৃত্তিবাসকে শক্তিনগরে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় তৃণমূল নেত্রী টিনা ভৌমিক সাহার অভিযোগ, দীর্ঘ দিন গ্রাম পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় থেকেও কংগ্রেস এলাকার উন্নয়ন করেনি। তাই স্থানীয় বাসিন্দারা এখন তৃণমূলের সঙ্গে থেকে তাদের বিরুদ্ধে লড়ছেন। পায়ের নীচে জমি সরছে বুঝেই ভোটের আগে কংগ্রেস এলাকায় সন্ত্রাস করছে। জেলা তৃণমূল সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্ত বলেন, ‘‘কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আমাদের কর্মীদের মেরেছে। পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়েছে। পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।’’ জেলা কংগ্রেস সভাপতি অসীম সাহা দাবি করেন, পুরনো পারিবারিক বিবাদ থেকেই ঝামেলার সূত্রপাত। গন্ডগোলে দু’পক্ষের কয়েক জন আহত হয়েছেন। তাঁর মতে, ‘‘ওই এলাকায় কংগ্রেস শক্তিশালী। দলের ভাবমূর্তি কলুষিত করতেই ভোটের আগে এই ঘটনায় রাজনীতির রং লাগানো হচ্ছে।’’