বাধাহীন দখলে উড়ল আবির

বিরোধীরা সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলছেন। তৃণমূল আবার বিরোধীদের সাংগঠনিক দুর্বলতাকে দায়ী করছে।  ১৬ এপ্রিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। তার পরে তৃণমূলের ঘরে আরও কিছু আসন যেতে পারে বলেই বিরোধীদের আশঙ্কা।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০১৮ ০১:৩৮
Share:

প্রত্যাশিত ছিল, কার্যত হলও তাই!

Advertisement

ভোটের আগেই নদিয়া-মুর্শিদাবাদের বেশ কিছু এলাকায় জয়ের হাসি হাসছে তৃণমূল।

নদিয়ায় পঞ্চায়েত সমিতির আসন ৫৪১টি। তৃণমূল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে ৩০টি আসনে। গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩২০৯টি আসনের মধ্যে ৩০২টি তাদের দখলে। মুর্শিদাবাদেও ছবিটা আলাদা নয়। সেখানে জেলা পরিষদের ৭০টি আসনের মধ্যে ১৫টি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূল জয়ী হয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতির ৭৩৬টির মধ্যে ৩০৬টি ও গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪১৭১টির মধ্যে ১৮৩৯টি আসন তাদের দখলে।

Advertisement

বিরোধীরা সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলছেন। তৃণমূল আবার বিরোধীদের সাংগঠনিক দুর্বলতাকে দায়ী করছে। ১৬ এপ্রিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। তার পরে তৃণমূলের ঘরে আরও কিছু আসন যেতে পারে বলেই বিরোধীদের আশঙ্কা।

নদিয়ায় সিপিএমের জেলা সম্পাদক সুমিত দে বলছেন, “অনুব্রতের নাচ এই জেলাতেও শুরু হয়েছে। মানুষকে ভয় পেয়েছে বলেই এ ভাবে মনোনয়নপত্র জমা দিতে বাধা দিল তৃণমূল।” বিজেপির জেলা সভাপতি মহাদেব সরকার বলছেন, “জনগন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে বলেই আজ ওরা নির্বাচন করার সাহস দেখাল না।” অভিযোগ উড়িয়ে জেলা তৃণমূলের সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্ত বলছেন, “সন্ত্রাস করলে আমরা সব ক’টা জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করে নিতে পারতাম! আমরা তো আর অন্য দলের প্রার্থী আর জামানতের টাকা সরবরাহ করতে পারি না।”

সিপিএমের জেলা সম্পাদক মৃগাঙ্ক ভট্টাচার্যের অভিযোগ, “পুলিশ ও তৃণমূল জেলা জুড়ে ব্লক ও এসডিও দফতর অবরোধ করে রেখে সন্ত্রাস চালিয়েছে। বহু জায়গায় পুলিশ লাঠি ধরেছে শাসকদলের হয়ে।।”

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলছেন, “এতই যদি উন্নয়ন তবে সব কিছু লুঠ করে, দখল করে জেতার চেষ্টা কেন? ব্লকে ব্লকে পুলিশকে নিয়ে অবরোধ করা হয়েছে বিরোধীদের ঠেকাতে।”

তৃণমূল নেতা তথা মন্ত্রী জাকির হোসেন অবশ্য বলছেন, “তৃণমূলের উন্নয়নের কারণেই মানুষের আস্থা হারিয়েছেন বিরোধীরা। প্রার্থীও খুঁজে পাননি তাঁরা। তাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এই জয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন