উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বদলে সচেতনতা শিবির

সোমবার বহরমপুরের হরিদাসমাটি এলাকায় একটি আর্সেনিকমুক্ত জলপ্রকল্পের উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল। পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী, শ্রম দফতরের প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন-সহ বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনিক কর্তাদের আমন্ত্রণও জানানো হয়েছিল। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বহরমপুর শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০১৯ ০১:৩৯
Share:

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।—ফাইল চিত্র।

ছিল উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। হয়ে গেল সচেতনতা শিবির!

Advertisement

সোমবার বহরমপুরের হরিদাসমাটি এলাকায় একটি আর্সেনিকমুক্ত জলপ্রকল্পের উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল। পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী, শ্রম দফতরের প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন-সহ বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনিক কর্তাদের আমন্ত্রণও জানানো হয়েছিল।

কিন্তু রবিবার রাতে রাজ্য জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর থেকে জানানো হয়, ওই জল প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। আগামী বুধবার দুপুরে নবান্ন থেকে তিনি রাজ্যের বেশ কয়েকটি প্রকল্পের সঙ্গে বহরমপুরের ওই জলপ্রকল্পের উদ্বোধন করবেনও।

Advertisement

এর পরেই তড়িঘড়ি এ দিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বদলে গিয়ে ‘নিরাপদ পানীয় জলপান’ বিষয়ে সচেতনতা শিবির করা হয়। এ প্রসঙ্গে জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোশারফ হোসেন মণ্ডল বলছেন, ‘‘রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বুধবার এই প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই উদ্বোধন অনুষ্ঠান পিছিয়ে দিয়ে নিরাপদ পানীয় জলের বিষয়ে বাসিন্দাদের সচেতন করা হয়েছে।’’ জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের সুপারিন্টেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ার অজয় কুণ্ডু বলছেন, ‘‘বুধবার নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী এই প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন।’’

জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৮ সালে বহরমপুরের হরিদাসমাটিতে প্রায় পৌনে দু’শো কোটি টাকা ব্যয়ে আর্সেনিকমুক্ত পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্পের শিলান্যাস হয়। বহরমপুর ব্লকের আংশিক এলাকা ও হরিহরপাড়া ব্লকে এই প্রকল্পের জল পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্ত জমি জোগাড় থেকে শুরু করে জল প্রকল্পের পাইপ পুঁততে গিয়ে বিভিন্ন সময়ে বাধার সম্মুখীন হতে হয়। বাধা বিপত্তি কাটিয়ে সম্প্রতি সেই প্রকল্পের জল সরবরাহও শুরু হয়েছে। তারই আনু্ষ্ঠানিক উদ্বোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়।

এ দিন অজয়বাবু বলেন, ‘‘ভাগীরথী থেকে জল সংগ্রহ করে পরিস্রুত করে এলাকায় পাইপ লাইনের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এলাকা থেকে বাড়ি বাড়ি সংযোগ দেওয়ার আর্থিক সংস্থান নেই দফতরের। তাই পঞ্চায়েত বা বিধায়করা তাঁদের এলাকা উন্নয়ন তহবিল থেকে বাড়ি বাড়ি সংযোগ দিতে অর্থ বরাদ্দ করলে ভাল হয়।’’

এ দিন সকালে বহরমপুর পঞ্চায়েত সমিতিতে একাধিক প্রকল্পের শিলান্যাস করেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোশারফ হোসেন। বিডিও রাজর্ষি নাথ বলেন, ‘‘১৭টি গ্রাম পঞ্চায়েত ও বহরমপুর পঞ্চায়েত সমিতি মিলিয়ে প্রায় ১৯ কোটি টাকার প্রকল্পের শিলান্যাস

করা হল।’’

গত কয়েক দিনে জেলায় একাধিক প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন হচ্ছে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের জন্যই কি এমন তৎপরতা? সভাধিপতির সংক্ষিপ্ত উত্তর, ‘‘ভোটের জন্য নয়, আমরা মানুষের জন্য উন্নয়ন করি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন