প্রতীকী ছবি।
গবেষকদের জন্য বায়োমেট্রিক বা আঙুলের ছাপ দিয়ে হাজিরার ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক করেছে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক জানাচ্ছেন, অনেক সময় শুধুমাত্র ডিগ্রি হাসিলের জন্য বিভিন্ন পেশার মানুষ পিএইচডি এবং এমফিল কোর্সে ভর্তি হন। ফলে তাঁরা নিয়মিত কোর্স ওয়ার্কে যোগ দেন না। এই কারণেই এই পদক্ষেপ।
কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হল ছ’মাসের কোর্স ওয়ার্ক। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, নিয়মিত ক্লাস না করলে পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে। অনেক সময় শিক্ষক থেকে শুরু করে অন্যান্য পেশার চাকরিজীবীরা ডিগ্রি হাসিলের জন্য এই ধরণের গবেষণা কোর্স করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরমান অনুযায়ী, এ বার থেকে গবেষকদের ছ’মাস রীতিমতো ছুটি নিয়ে নিয়মিত ক্লাস করতে হবে। উপাচার্য শঙ্করকুমার ঘোষ বলেন, ‘‘উচ্চ শিক্ষায় গবেষণা অত্যন্ত গুরুত্বের বিষয়। কিন্তু সেটিই যদি সব থেকে অবহেলিত হয়, তার প্রভাব তো পরবর্তী ক্ষেত্রে পড়বেই। সেই জন্যই এমন নিয়ম কার্যকর করা হচ্ছে।’’
এ বছর পিএইচডি এবং এমফিল কোর্সে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০৪ জন ভর্তি হয়েছেন। আগামী ছ’মাস ধরে তাঁদের সপ্তাহে পাঁচ দিন ক্লাস করতে হবে। প্রথম পর্যায়ে ক্লাসে মূলত গবেষণার বিষয়বস্তু নির্বাচন, আঙ্গিক ও দৃষ্টিভঙ্গি, বিষয়গত সমস্যা ও প্রতিকার, তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ, রিপোর্টিং, গবেষণাপত্র রচনা ও উপস্থাপন প্রভৃতি বিষয়ে আলোচনা হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ক্লাস হবে নিজস্ব বিভাগ বা ফ্যাকাল্টি পর্যায়ে। তৃতীয় পর্যায়ে গবেষকরা সংশ্লিষ্ট গবেষণা নির্দেশকের কাছে ক্লাস করবেন।