হেরেও নজর কাড়ল বিশ্বজিৎ

বছর ষোলোর রোগা পাতলা ছেলেটার পায়ে বল পড়লেই গোটা মাঠ চিৎকার করছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০১৬ ০১:৩২
Share:

বছর ষোলোর রোগা পাতলা ছেলেটার পায়ে বল পড়লেই গোটা মাঠ চিৎকার করছিল। বিপক্ষ দলের বড় চেহারার খেলোয়াড়দের সঙ্গে সমান তালে পাল্লা দিয়ে স্কুল একাদশের দশ নম্বর জার্সি পড়া রাইট আউট বিশ্বজিৎ মাঝির লড়াই দেখে উৎসাহে ফেটে পড়ছিল হাজার পাঁচেক দর্শক। শেষরক্ষা করতে না পারলেও বারো নম্বর জার্সি পড়া স্টপারে খেলা ছেলেটা কিন্তু শুরু থেকেই বিপক্ষ দলের খেলোয়াড়দের গায়ে গায়ে লেগেছিল। তাকে টপকে বক্সে ঢোকা সহজ ছিল না। এইসব স্কুল পড়ুয়ায় খেলোয়াড়দের অনেকেই সকার কাপে প্রথম খেলতে নেমে বুঝিয়ে দিয়েছে তারা লম্বা রেসের ঘোড়া। এদের সে ভাবে তৈরি করলে ভবিষ্যতে নবদ্বীপের ফুটবলের মান অনেক উন্নত হবে।

Advertisement

সকার কাপে এ বারই প্রথম যুক্ত হয়েছে স্কুল স্তরের খেলোয়াড়েরা। গড়া হয়েছে নবদ্বীপ জোনাল স্কুল স্পোর্টস একাদশ নামে নতুন দল। বৃহস্পতিবার সকার কাপের পঞ্চম ম্যাচে কর্মমন্দিরের মাঠে সেই স্কুল একাদশের আত্মপ্রকাশ ঘটল। এ দিন আজাদ হিন্দ ক্লাবের কাছে স্কুল একাদশ ৪-০ গোলে হেরে গেলেও মূলত একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের এদিনের খেলায় একটা বার্তা পরিষ্কার, শুধু টুর্নামেন্ট নির্ভর দল না গড়ে যদি দীর্ঘকালীন মেয়াদে নবদ্বীপ পুর এলাকা এবং পঞ্চায়েতের বিভিন্ন স্কুল থেকে বাছাই করা ফুটবলার নিয়ে একটা দল গড়া যায়। তাদের ধারাবাহিক ভাবে অনুশীলন করানোর ব্যবস্থা হয়, তাহলে নবদ্বীপের ফুটবলের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হবে।

নবদ্বীপ জোনাল স্কুল স্পোর্টস একাদশের কোচ তথা নবদ্বীপ বকুলতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক রাজেশ সাহা জানিয়েছেন এবারের দলে মোট ছয়টি স্কুল থেকে আঠারো জন খেলোয়ারকে নির্বাচন করা হয়েছে। প্রথম ম্যাচেই নজরকাড়া বিশ্বজিৎ মাঝি নবদ্বীপ শিক্ষামন্দিরের একাদশ শ্রেনীর ছাত্র। এছাড়াও আরও কয়েকজন খেলোয়াড় বেশ ভাল খেলেছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement