লজে বিজেপির সভায় মারামারি

শান্তিপুর থানার ফুলিয়ায় একটি বেসরকারি লজে এ দিন বিজেপির নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার ‘কার্যকারিণী’ বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সেখানে নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি জগন্নাথ সরকার ছাড়াও ছিলেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মনোজ বিশ্বাস। গন্ডগোলের জেরে শেষ পর্যন্ত বৈঠক ভেস্তে যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শান্তিপুর শেষ আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০১৮ ০২:২৮
Share:

হাতাহাতি। রবিবার ফুলিয়ায়। নিজস্ব চিত্র

বিজেপির নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার কার্যকারিণী বৈঠকে বাগ্‌বিতণ্ডা গড়াল হাতাহাতিতে। সেখানে জেলার একাধিক নেতাকে মারধর করা হয়েছে বলে বিজেপি সূত্রের খবর। রবিবার গোটা ঘটনাই ঘটে দলের রাজ্য নেতৃত্বের সামনে।

Advertisement

শান্তিপুর থানার ফুলিয়ায় একটি বেসরকারি লজে এ দিন বিজেপির নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার ‘কার্যকারিণী’ বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সেখানে নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি জগন্নাথ সরকার ছাড়াও ছিলেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মনোজ বিশ্বাস। গন্ডগোলের জেরে শেষ পর্যন্ত বৈঠক ভেস্তে যায়।

দলীয় সূত্রের খবর, বৈঠকে জেলা সভাপতি জগন্নাথের কাজকর্ম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন জেলার একাধিক নেতা। রানাঘাট ১ ব্লকের হবিবপুর পঞ্চায়েতে বৃহত্তম দল হওয়া সত্ত্বেও বিজেপি বোর্ড গঠন করতে পারেনি। সেখানে বোর্ড গঠন করে তৃণমূলই। স্থানীয় এবং জেলার কিছু নেতা বৈঠকে অভিযোগ করেন, জেলা সভাপতির নিষ্ক্রিয়তার কারণেই ওই বোর্ড গঠন করা যায়নি।

Advertisement

পাশাপাশি বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলা সভাপতি সম্প্রতি একটি নতুন জেলা কমিটির প্রস্তাব পেশ করেন রাজ্য কমিটির কাছে। সেই কমিটিতে অনেক পদাধিকারীকে সরিয়ে নতুন মুখ আনার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি একাধিক মণ্ডল কমিটির সভাপতিকে হঠাৎ করেই বদল করা হয়েছে।

এ দিন বৈঠকে রাজ্য নেতার সামনেই এই সমস্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বেশ কিছু সদস্য। তাঁদের অভিযোগ, সেই সময়ে কিছু লোক তাঁদের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে মারধর করে। কিল, চড়, লাথি— কিছুই বাদ যায়নি। প্রহৃত হন নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার কিসান মোর্চার সভাপতি নিশীথ বিশ্বাস, জেলার সাধারণ সম্পাদক মানবেন্দ্রনাথ রায়, জেলার আরেক সাধারণ সম্পাদক নিরঞ্জন বিশ্বাস, জেলা কমিটির সদস্য গণেশ রায়। এই অবস্থায় পর্যবেক্ষক মনোজ বেরিয়ে যাওয়ায় বৈঠক ভেস্তে যায়।

এ দিন কিসান মোর্চার নেতা নিশীথ বিশ্বাস বলেন, ‘‘জেলা সভাপতি নিজের ইচ্ছা মতো দল চালানোর চেষ্টা করছেন। তৃণমূল থেকে আসা লোকদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। গুরুত্বহীন করে রাখা হচ্ছে বিজেপির পুরনো লোকদের। আজ জোর করেই নতুন জেলা কমিটি ঘোষণা করে দিতে চেয়েছিলেন। প্রশ্ন তোলায় দলবল এনে আমাদের মারধর করেন।”

বৈঠকে হাতাহাতির কথা স্বীকার করে নিলেও এর পিছনে তাঁর কোনও ভূমিকা ছিল না বলেই দাবি জগন্নাথের। তিনি বলেন, ‘‘সব কিছু দলের নিয়ম মেনেই হচ্ছে। মণ্ডল কমিটিও। কারও কোনও ক্ষোভ থাকলে দলকে জানাতে পারেন। কিন্তু যাঁরা সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলছেন তাঁরা তৃণমূলের দালালি করছেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন