BJP

ভারতমালা নিয়ে বিজেপির তোপ

ভারতমালা প্রকল্পের ঘোষণার পর রাজ্য সরকারের তরফে জমি অধিগ্রহণের বিষয়ে এলাকার জনপ্রতিনিধিদের একাধিক বৈঠক করা হয়। রাস্তা মাপার কাজ শুরু হয়।

Advertisement

সাগর হালদার 

তেহট্ট শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২০ ০১:৫৬
Share:

—প্রতীকী ছবি

সীমান্ত সুরক্ষায় শুরু হওয়া কয়েক কোটি টাকার ভারতমালা প্রকল্প রাজ্যে অথৈ জলে পড়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। তাদের দাবি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে ওই প্রকল্পের কাজ ফাইল বন্দি করে রেখেছে তৃণমূল। যদিও তৃণমূল অভিযোগ অস্বীকার করেছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে সীমান্ত সুরক্ষা ও এলাকার উন্নয়নের জন্য কেন্দ্র সরকার কয়েকটি সীমান্ত এলাকার জন্য এই প্রকল্প ঘোষণা করে। তার মধ্যে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর থেকে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট পর্যন্ত মোট ৩২৯ কিমি রাস্তা তৈরির কথা ছিল। প্রকল্পের শর্ত অনুযায়ী, রাস্তার প্রয়োজনীয় জমি অধিগ্রহণ করবে রাজ্য সরকার।

Advertisement

ভারতমালা প্রকল্পের ঘোষণার পর রাজ্য সরকারের তরফে জমি অধিগ্রহণের বিষয়ে এলাকার জনপ্রতিনিধিদের একাধিক বৈঠক করা হয়। রাস্তা মাপার কাজ শুরু হয়। তার পর সব চুপচাপ। সীমান্তের মানুষের অভিযোগ, এই এলাকায় রেলপথ নেই। বছরের বেশির ভাগ সময়েই রাস্তার বেহাল অবস্থা থাকে। এলাকার মানুষ চাইছেন, সীমান্তের ১১ নম্বর রাজ্য সড়কের উপরে কেন্দ্র সরকারের ভারতমালা প্রকল্পের চার লেনের রাস্তার কাজ দ্রুত শেষ করা হোক। তাতে মানুষের সমস্যা অনেক কমত।

রানাঘাট লোকসভার সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন, ‘‘তৃণমূল কেন্দ্রের সব প্রকল্পের উন্নয়নে বাধা দেয়। তাই ওদের মুখে উন্নয়নের কথা মানায় না। রাস্তাটা হলে দেশের ও সীমান্তের মানুষের বিশেষ সুবিধে হত। কিন্তু কেন্দ্র সরকারের নাম হয়ে যেত বলে চক্রান্ত করে ওরা রাস্তাটা হতে দিচ্ছে না।’’ প্রকল্প শুরু হওয়ার সময় নদিয়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন তেহট্টের বিধায়ক গৌরী শঙ্কর দত্ত। বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘ওদের অভিযোগ ভিত্তিহীন। এটা সম্পূর্ণ কেন্দ্রের প্রকল্প। ওরা কাজ করেনি তাই রাস্তা হয়নি। এতে আমাদের কী করার আছে?’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন