যানজটে জেরবার রাস্তা, তারউপর, যাত্রী টানতে বেসরকারি বাসের শামুক-গতি। থমকেই গিয়েছিল মুর্শিদাবাদ জেলা সভাধিপতির লাল বাতির জাইলো। সাহস তো কম নয়?
গাড়ি থেকে লাফিয়ে নেমেছিল সদ্য সভাধিপতি পদে আসীন বৈদ্যনাথ দাসের দেহরক্ষী। তার পর শুরু হয়েছিল কলার ধরে চোটপাট। সঙ্গে জুটে গিয়েছিল স্থানীয় এক ট্রাফিক পুলিশও— ‘স্যারের গাড়ি যাচ্ছে রেয়াত করবি না!’ শুরু হয়েছিল মারধর। মারের চোটে বেঁহুশ চালক প্রবোধ মণ্ডলকে ভর্তি করতে হয় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। তবে এরপরেই রাস্তা জুড়ে বসে পড়েন বেসরকারি বাস চালকেরা। যানজটে আটকে গিয়েছে, তা বলে গায়ে হাত? ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়তে সময় লাগেনি। বহরমপুরের মোহনের মোড়ে বাস চালকেরা অবরোধ শুরু করেন। স্তব্ধ হয়ে য়ায় ৩৪ নম্ব জাতীয় সড়ক। বৈদ্যানাথ অবশ্য অভিযোগ মানছেন না। বলছেন, ‘‘ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে বাস চালকের একটা গণ্ডগোল হচ্ছিল। আমার দেহরক্ষী তো মারধর করেনি।’’ সে কথা অবশ্য মানছেন না প্রবোধ, ‘‘তবে মারল কে শুনি, লালবাতির দেহরক্ষীই তো ছুটে এসে মারধর শুরু করল!’’