হাসপাতালে জখম শিশু। ছবি: নিজস্ব চিত্র
মাস খানেক আগেই বাড়ির ছাদে খেলতে গিয়ে বোমা ফেটে জখম হয়েছিল একাধিক শিশু। সীমান্তের মুরুটিয়ার ওই ঘটনার স্মৃতি ফিকে হয়নি এখনও। এরই মধ্যে মঙ্গলবার খেলতে গিয়ে ঝোপে রাখা বোমায় পা লাগে এক শিশুর। ফেটে যায় বোমাটি। তার জেরে গুরুতর জখম রুকসানা খাতুন নামে শিশুটি শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ দিন দুপুরে কৃষ্ণনগর লাগোয়া নতুনপাড়া এলাকার ঘটনা। শিশুটির পায়ে ও বুকে আঘাত লেগেছে বলে জেলা হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে শিশুটি জানায়, সে বাড়ির পাশের বাগানে খেলছিলাম। সেই সময় আচমকা মায়ের দেওয়া দু’টাকা হারিয়ে ফেলে ছোট্ট রুকসানা। সে ঝোপের এ দিক সে দিক পা দিয়ে ওই কয়েন খুঁজছিল। আচমকা বলের মতো একটা বস্তুতে পা পড়ে শিশুটির। সেখাটিকে পা দিয়ে সরাতে গেলেই বিস্ফোরণ হয়। ফেটে যায় তাজা বোমাটি। বোমার ঘায়ে মারাত্মক জখম রুকসানাকে উদ্ধার করে এলাকার লোকজন হাসপাতালে নিয়ে যান।
ঝোপঝাড়ে এ ভাবে রাখা বোমায় শিশুদের হতাহত হওয়ার ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকার লোকজন। সমাজবিরোধীদের জমানো অস্ত্রে ছোটদের বেঘোরে প্রাণ যাওয়া বা জখম হওয়ায় উদ্বিগ্ন জেলার মানুষ। পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, সামনেই জেলার সব কলেজেই ভোট। তার আগে শাসক-বিরোধী সব শিবিরই অস্ত্র মজুত করছে। ওই ঘটনা হয়ত সেই অস্ত্র জমানো প্রতিযোগিতারই ফল। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এলাকায় বেশ কিছুদিন ধরেই সমাজবিরোধীদের যাতায়াত শুরু হয়েছে। তাদেরই ফেলে যাওয়া বোমা ফেটেই এই বিপত্তি। ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে কোতোয়ালি থানার পুলিশ।