India Bangladeh Border

‘ভারতের দখলে থাকা পাঁচ কিমি উদ্ধার’! বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের দাবি নিয়ে কী জানাল বিএসএফ?

বাংলাদেশের কোদলা নদীর প্রায় পাঁচ কিলোমিটারের মতো জায়গা ১৯৭৫ সালের সীমান্ত চুক্তি অনুসারে ভারতীয় ভূখণ্ড হিসাবে বিবেচিত হয়। এর দখল নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে দু’দেশের মধ্যে বিতর্ক।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২৫ ২৩:২৬
Share:

বাংলাদেশের কোদলা নদীর প্রায় পাঁচ কিলোমিটারের মতো জায়গা ১৯৭৫ সালের সীমান্ত চুক্তি অনুসারে ভারতীয় ভূখণ্ড হিসাবে বিবেচিত হয়। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

বাংলাদেশের মহেশপুর উপজেলার মাটিলা সীমান্তের কোদলা নদীর ৫ কিলোমিটার ‘ভারতের দখলে থাকা ভূখণ্ড নিজেদের দখল পুনঃপ্রতিষ্ঠার’ দাবি করেছে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি)। এ নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন বিজিবি-র সদ্য নিযুক্ত কর্নেল পদমর্যাদার এক আধিকারিক। তিনি জানান, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-র সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ভারতীয় ভূখণ্ডের ৪.৮ কিমি অংশ নিজেদের অধিকারে নিয়েছে বাংলাদেশ। এ নিয়ে বিবৃতিও প্রকাশ করে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড। তার পর থেকে তোলপাড় শুরু হয়। মঙ্গলবার বিএসএফের তরফে বিজিবি-র দাবি উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বিজিবি-র ওই আধিকারিকের দাবিকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বলে মন্তব্য করা হয়েছে। একই সঙ্গে ভারতীয় ভূখণ্ড সম্পূর্ণ সুরক্ষিত বলে বিবৃতি দিল বিএসএফ।

Advertisement

বাংলাদেশের কোদলা নদীর প্রায় পাঁচ কিলোমিটারের মতো জায়গা ১৯৭৫ সালের সীমান্ত চুক্তি অনুসারে ভারতীয় ভূখণ্ড হিসাবে বিবেচিত হয়। এর দখল নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে দু’দেশের মধ্যে বিতর্ক। সোমবার সেই জায়গা ‘দখলমুক্ত’ করা হয়েছে বলে দাবি করে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষা বাহিনী। মহেশপুর-৫৮ বিজিবি-র অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আজিজুস শাহিদ জানান, ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার মাটিলা সীমান্তে বিএসএফের দখলে থাকা প্রায় পাঁচ কিলোমিটার অংশ ‘দখলমুক্ত’ করে নিজেদের ‘দখল’ প্রতিষ্ঠা করেছে বিজিবি। বাংলাদেশের একাধিক সংবাদমাধ্যমে সম্প্রচারিত ভিডিয়োয় দেখা যায়, মাটিলা গ্রামের সেই নদীতে অনেকে মাছ ধরছেন। কেউ কেউ স্নান করছেন। দাবি করা হয়, নদীতে বাংলাদেশের ‘দখল প্রতিষ্ঠিত’ হওয়ায় পর এটা আনন্দ এবং উচ্ছ্বাসের দৃশ্য (ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)।

যদিও বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের দাবি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে বিএসএফ। বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের ডিআইজি (জনসংযোগ) এনকে পাণ্ডে বিবৃতি দিয়ে বলেন, ‘‘বাংলাদেশ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন। ওই এলাকাটি সম্পূর্ণ ভাবে বিএসএফের দায়িত্ব রয়েছে। ১৯৭৫ সালের সীমান্ত বোঝাপড়া নির্দেশিকা অনুযায়ী, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী নিজেদের এলাকা সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘এই ধরনের সংবাদ দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে প্রভাব ফেলতে পারে। ভারতের এক ইঞ্চি জমিও হাতছাড়া হয়নি এবং ভবিষ্যতেও হবে না।’’

Advertisement

কোদলা নদী দিয়েই মহেশপুর এলাকার বেশ কয়েকটি নদী ও বিলের জল নিষ্কাশন হয়। এ ছাড়া বড়বিল, কেউরোর বিল, ঢলঢলে বিল, তিথির বিল, পুঁটিমারি বিল-সহ বেশ কয়েকটি বিলের জল ওই নদীপথ দিয়ে প্রবাহিত হয়। ওই গোটা এলাকায় পাঁচশোর বেশি গ্রাম রয়েছে। গ্রামগুলোর মাঠের জলও কোদলা দিয়ে নিষ্কাশন হয়। কোদলার উৎপত্তি ভারতে। ভারতেই ফের ফিরে এসেছে।। বর্তমানে নদীর প্রস্থ ১৪০ থেকে ১৫০ ফুট।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement