এক ব্যবসায়ীকে খুনের অভিযোগ উঠল কান্দিতে। নিহত ওই ব্যবসায়ীর নাম সুরেন্দ্রকুমার ঘোষ (৫৮)। সোমবার সন্ধ্যায় কান্দির ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা। সুরেন্দ্রবাবুর স্ত্রী অর্চনাদেবীর অভিযোগের ভিত্তিকে পুলিশ একটি খুনের মামলা রুজু করেছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ওই প্রৌঢ়কে খুন করা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে আরও কিছু বিষয় পরিষ্কার হবে।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুরে সুরেন্দ্রবাবুর জন্য রান্না করে রেখে অর্চনাদেবী মেয়েকে সঙ্গে করে কান্দির রণগ্রামে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে তাঁরা ফেরেন বিকেলের পরে। বাড়ি ফিরে তাঁরা দেখেন দোতলায় ওঠার সিঁড়িতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন সুরেন্দ্রবাবু। তাঁর স্ত্রী ও মেয়ের চিৎকারে ছুটে আসেন পড়শিরা। তাঁরাই জখম সুরেন্দ্রবাবুকে উদ্ধার করে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, সুরেন্দ্রবাবুর মাথায়, মুখে ও কপালে একাধিক ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। গলায় একটি গামছাও জড়ানো ছিল। তবে ঠিক কী কারণে ওই ব্যবসায়ী খুন হয়েছেন তা নিয়ে অবশ্য ধন্দে রয়েছে পুলিশ।
অর্চনাদেবীর দাবি, ‘‘আমার স্বামীর ইলেকট্রিক সরঞ্জামের দোকান রয়েছে। দোহালিয়া গ্রামের এক ইলেট্রিক মিস্ত্রি জিনিসপত্র কিনত। মাঝেমধ্যে সে দোকানেও কাজ করত। তাকে কিছু টাকা ধার দিয়েছিল আমার স্বামী। সেই টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে সপ্তাহ দু’য়েক আগে একবার অশান্তিও হয়েছিল। স্বামীর মৃত্যুর খবর পেয়ে বহু লোকজন দূর দূরান্ত থেকে আমাদের বাড়িতে এসেছেন। কিন্তু দোহালিয়ার ওই লোকটি আসেনি। গোটা বিষয়টি আমি পুলিশকেও জানিয়েছে।’’ সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে
পুলিশ জানিয়েছে।