অন্ধকার থেকে ছুটে এসেছিল গুলি। মোটরবাইক সমেত হুড়মুড়িয়ে পড়ে গিয়েছিলেন। ঘটনাস্থলেই মারা গেলেন নাকাশিপাড়ার চন্ডীপুর গ্রামের ফিরোজ শেখ (৩০)।
রবিবার রাতে, ওই ঘটনার পরে পাট ও ভুসিমালের পাইকারি ব্যবসায়ী ফিরোজের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যবসার পাশাপাশি, বেথুয়াডহরি এলাকায় আরও কয়েকজনের সঙ্গে জমি কেনাবেচার কারবারের সঙ্গেও জড়িয়ে পড়েছিলেন ফিরোজ। তার সহ-কর্মীরাই তার খুনের সঙ্গে জড়িত বলেও দাবি করেছে তার পরিবার। রবিবার, রাতে বেথুয়াডহরি থেকেই ফিরছিলেন তিনি। বাড়ি থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে চিচুড়িয়া এবং মালুমগাছা গ্রামের মাঝে একটি ফাঁকা মাঠে রাস্তার ওপরেই পড়ে ছিল তাঁর দেহ। বাইকটি পড়েছিল পাশেই। রাতে, ফেরার পথে এক সিভিক ভলান্টিয়ারের নজরে পড়ে দেহটি। পুলিশ আসে। দেহ নিয়ে যাওয়া হয় বেথুয়াডহরি গ্রামীণ হাসপাতালে। চিকিতসকেরা জানান, গুলিতেই মারা গিয়েছেন ফিরোজ। সোমবার, মৃতের বাবা সুরাত আলি শেখ, ছেলের চার বন্ধুর নামে লিখিত অভিযোগ করেছেন। ওই চারজনের মধ্যে দুজনের বাড়ি চিচুড়িয়া, একজনের বাড়ি বাগুন্ডা এবং অন্যজনের বাড়ি ধোবাডাঙ্গায়। চারজনে চাষবাসের কাজ করে। অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ অভিযুক্ত চার যুবকের বাড়িতে গিয়েছিল। চার অভিযুক্তই পলাতক।
পুলিশ সুপার শীষরাম ঝাঝারিয়া বলছেন, “অভিযোগ পাওয়ার পর খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে এই খুন।’’