বাদুরঝোলা: যাতায়াত এ ভাবেই। বহরমপুরে। নিজস্ব চিত্র
দু’দিনের জেলা সফরে মুর্শিদাবাদে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রথম দিন ছিল ডোমকলের সভা। তাতে যোগ দিতে বাসে চেপে ছুটেছেন দলের কর্মীরা। আবার যাঁরা নানা প্রকল্পে সাহায্য পাবেন তাঁদেরকেও বাসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ফলে রুট থেকে উধাও হয় বহু বাস। রাস্তায় নামলে যাত্রীদের নাকাল হওয়ার আশঙ্কা ছিল। সেই আশঙ্কা শেষ পর্যন্ত সত্যি হল বুধবার।
ডোমকলের ওই সভায় যাওয়ার জন্য মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে প্রায় সাতশো বাস ও নদিয়া জেলা থেকে গোটা পঞ্চাশেক বেসরকারি বাস ভাড়া করে প্রশাসন। তার ফলে বহরমপুর বাসস্ট্যান্ড চত্বরে এ দিন সকাল থেকে ছিল বেসরকারি বাসের অভাব। বাসের জন্য প্রখর রোদ মাথায় নিয়ে যাত্রীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকেন কখন একটা বাস আসে তার অপেক্ষায়!
ডোমকলের সাবিনা ইয়াসমিন অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে এ দিন সকালে বহরমপুরে আসেন। কিন্তু দুপুরের ফেরার সময় বাস পেতে নাকাল হতে হয় তাঁকে। তিনি বলেন, ‘‘ছোট গাড়িতে যা ভিড় বাচ্চা নিয়ে উঠতে পারছি না। বাসের অপেক্ষায় তাই দাঁড়িয়ে আছি।’’ সরকারি কর্মী থেকে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অনেকে বাস না পেয়ে গাড়ি ভাড়া করে কর্মস্থলে যান।
নিত্যযাত্রী সংগঠনের পক্ষে তৌসিফুল ইসলাম বলেন, ‘‘রাজনৈতিক সভা হোক বা সরকারি—লোক হাজির করানোর জন্য কোপ পড়ে বেসরকারি বাসের উপরে। আর তার ফল ভুগতে হয় আমাদের মতো যাত্রীদের।’’
বাস মালিক সংগঠনের এক কর্তা বলেন, ‘‘দুপুরের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী সভা শেষ হয়ে যায়। কিন্তু বেসরকারি বাসের অভাবে জেলার বিভিন্ন প্রান্তের লোকজন এ দিন বহরমপুরে আসেননি। ফলে সন্ধ্যার পর থেকে বাসে কোনও যাত্রী না থাকায় বহরমপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে অধিকাংশ বাস ছাড়েনি।’’