টাকা দিতে বিএসএফ ক্যাম্পে ব্যাঙ্ককর্মী। বেতাইয়ে।-নিজস্ব চিত্র
পরনে জলপাই রঙের পোশাক। হাতে একাধিক এটিএম কার্ড। সেই সীমান্ত থেকে সদর শহরে এসে ওঁরা দাঁড়ান এটিএম কাউন্টারের সামনের লাইনে। কিন্তু নোট বাতিলের পর থেকে সেই সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানেরাও পড়েছেন আতান্তরে। কারণ, দীর্ঘ পথ উজিয়ে এসে তাঁদের কেউ অপেক্ষা করে ফিরে যাচ্ছিলেন খালি হাতে। কেউ আবার ‘ডিউটি’-র চাপে এটিএমে আসার সময় পাচ্ছিলেন না।
শনিবার সীমান্তরক্ষীদের মুশকিল আসানে এগিয়ে এলেন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বেতাই শাখার কর্মীরা। তেহট্ট, বেতাই ও নন্দনপুর এলাকায় ১৫ নম্বর ব্যাটেলিয়নের বেশ কয়েকটি ক্যাম্পে তাঁরা নিয়ে গিয়েছিলেন সোয়াইপ মেশিন। সেখান থেকেই জওয়ানেরা দু’হাজার টাকা করে তুলতে পেরেছেন।
নেট ব্যাঙ্কিং বা এটিএমের দৌলতে এখন বাড়িতে টাকা পাঠানো কোনও কঠিন কাজ নয়। সেটা নিয়ে চিন্তিতও নন জওয়ানেরা। তাঁদের সমস্যা হচ্ছিল হাত খরচের টাকা পেতে। বিএসএফের এক জওয়ানের কথায়, ‘‘ডিউটি ছেড়ে ব্যাঙ্কে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা সম্ভব হচ্ছিল না। তাছাড়া স্থানীয় এটিএমগুলোতে বেশির ভাগ সময় টাকা থাকছে না।’’ ১৫ নম্বর ব্যাটেলিয়নের কম্যান্ডিং অফিসার সুকুমার সারেঙ্গি বলছেন, “ব্যাঙ্কের এই উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়। জওয়ানদের খুব উপকার হল।’’
ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের রিজিওনাল ম্যানেজার তপন ভট্টাচার্য বলেন, “আমরা জেলায় মোট তিনটি ভ্রাম্যমান এটিএম ব্যবহার করছি। সেগুলি সরকারি দফতর, হাসপাতাল ছাড়াও বিএসএফ ক্যাম্পেও যাচ্ছে। আমরা আরও তিনটি মোবাইল এটিএম আনার চেষ্টা করছি।’’