Child Controversy

মুর্শিদাবাদের হাসপাতালে শিশু বদলের অভিযোগে তুলকালাম, খতিয়ে দেখার আশ্বাস কর্তৃপক্ষের

প্রসূতির পরিবারের দাবি, জন্মের পর যে বাচ্চা ও মায়ের হাতে যে টোকেন দেওয়া হয়েছিল, মৃত শিশুর টোকেন নম্বর ভিন্ন। তাহলে কী করে তাঁদের প্রসূতির সন্তানের মৃত্যু হয়?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

বহরমপুর শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৮:২১
Share:

হাসপাতালের বিরুদ্ধে শিশু বদলের অভিযোগে তুলকালাম। — ফাইল ছবি।

প্রথমে পরিবারকে জানানো হয়েছিল সন্তানসম্ভবা মহিলা শিশু সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। সেই অনুযায়ী মা ও শিশুর হাতে বেঁধে দেওয়া হয়েছিল ২৯৫ নম্বর টোকেন। শনিবার ভোররাতে জানানো হয় মৃত্যু হয়েছে শিশুর। ছুটে আসে পরিবার। অথচ, যে মৃত শিশুকে তাদের বলে পরিবারের হাতে দেওয়া হয় তার টোকেন নাম্বার ২০০! পরিবারের অভিযোগ, সুস্থ শিশুর বদলে মৃত শিশুকে বদল করা হয়েছে। তার প্রমাণ টোকেন নম্বর। পরিবারের বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে মুর্শিদাবাদের মাতৃমা হাসপাতাল। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন পাঁচেক আগে প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের মাতৃমা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ভগবানগোলা থানায় এলাকার কালুখালির গৃহবধূ শাবানা বিবি। গত পরশু তিনি একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। মা ও শিশুকে চিহ্নিতকরণের জন্য হাসপাতালের পক্ষ থেকে দেওয়া হয় টোকেন নম্বর। পরিবারের লোকজন সেই টোকেন নম্বরের ছবিও তুলে রাখেন। শনিবার রাতে হাসপাতাল থেকে ফোন করে জানানো হয়, বাচ্চার অবস্থা আশঙ্কাজনক। কিছু ক্ষণ পরে আবার ফোন করে জানানো হয় শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের লোকজন হাসপাতালে ছুটে এসে দেখেন মৃত শিশুটির হতে যে টোকেন ঝুলছে তার নম্বর ২০০! এতে ক্ষোভে ফেটে পড়েন পরিবারের লোকজন। পরিবারের দাবি, তাঁদের সুস্থ বাচ্চাকে মৃত শিশুর সঙ্গে বদলে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কর্তৃপক্ষ।

শিশুর আত্মীয় রমজান মণ্ডল বলেন, ‘‘টোকেন দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা মোবাইলে ছবি তুলে রেখেছিলাম। মায়ের টোকেন যদি ২৯৫ হয়, বেবির টোকেন ২০০ কি করে হয়? পয়সার বিনিময়ে হাসপাতালের নার্সরা শিশু বদলে দিয়েছেন।’’ চাপের মুখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কিছু সমস্যা হয়ে থাকতে পারে। তবে শিশু বদলের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলেই দাবি হাসপাতালের।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন