‘কথা দিলাম’। কন্যাশ্রী দিবসে নওদায় মঞ্চস্থ হল নাটক। —নিজস্ব চিত্র
সাবিনা এখনই বিয়ে করতে চায় না। সে পাইলট হতে চায়। কিন্তু বাবা-মা মেয়ে পার করাতে মরিয়া। তাঁরা বিয়ে ঠিক করে বসে আছেন। সাবিনার ইচ্ছে-অনিচ্ছে শুনছে কে!
শুনল, কন্যাশ্রীর দিদিরা। খবর পেয়ে তারা বিডিও আর পুলিশকে নিয়ে সাবিনাদের বাড়িতে হাজির। তার বাবা-মা যতই গোঁ ধরে থাকেন, তত বোঝাতে থাকে মেয়ের দল। কম বয়সে বিয়ে দিলে, মা হলে, মেয়েদের কত ক্ষতি সেই কথা। শেষে সাবিনার বাবা-মা ভুল বুঝতে পারেন। কথা দেন, শুধু নিজের নাবালিকা মেয়ের বিয়ে দেবেন না, তা-ই নয়। অন্য নাবালিকাদের বিয়েও রুখবেন তাঁরা।
শুক্রবার, কন্যাশ্রী দিবসে নওদা ব্লক অফিসে হল এমনই নাটক— ‘কথা দিলাম’। গত ১২ দিন ধরে কলকাতার ‘কওকথা’ নাট্যগোষ্ঠী ২৮ কন্যাশ্রীকে টানা মহলা দিইয়েছে। সুশান্ত মুখোপাধ্যায়ের লেখা নাটক পরিচালনা করেছেন ওই নাট্যগোষ্ঠীর কর্ণধার ভাস্বতী মুখোপাধ্যায়।
এ দিন ব্লক অফিসের সামনের প্রাঙ্গণে ‘কন্যাশ্রী শক্তি’ নাম দিয়ে বড় কাট-আউটের উদ্বোধন হয়। ৩০ জন কন্যাশ্রীর ছবি আছে তাতে। বেলা ১১টায় ‘কলতান’ কক্ষে শুরু হয় নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ছিল কন্যাশ্রীদের নিয়ে কবিগানও। বেলা সওয়া ৩টেয় শুরু হয় নাটক। চলে টানা ৪৫ মিনিট। অনুষ্ঠানে হাজির ছিল ব্লকের ৪২টি স্কুলের ছাত্রছাত্রী ও তাদের অভিভাবকেরা। সকলে নাটক দেখে মুগ্ধ। দর্শকদের বিচারে সেরা অভিনয় সাবিনার ভূমিকায় আয়েসা সিদ্দিকা আর পাঁচু দালালের ভূমিকায় অনুশ্রী মণ্ডলের। মেডেল পরিয়ে দেওয়া হয় কন্যাশ্রীর গলায়। মেয়েরা শপথ করে, নাবালিকা বিয়ে ও নারী পাচার রুখতে তারা সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে কাজ করবে।