এত খুচরো গুনবে কারা

নদিয়ার জেলাশাসক সুমিত গুপ্তও এক সুরে দাবি করেন, “আমরা বিভিন্ন সময়ে জেলাবাসীকে সচেতন করছি।” কাল, শুক্রবার জেলা স্তরে ব্যাঙ্কার্স কমিটির বৈঠক রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রতিনিধির উপস্থিতিতেও এ বিষয়ে কথা হবে বলে তিনি জানান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০১৮ ০১:৫৪
Share:

এক টাকার কয়েন আগেই বাতিলের দলে পড়ে গিয়েছিল। এখন ২, ৫ ও ১০ টাকার কয়েন নিয়েও সমস্যা হচ্ছে নদিয়া-মুর্শিদাবাদে।
পেট্রোল পাম্প থেকে শুরু করে রেশন দোকান, ফেরিঘাট, সংবাদপত্র বিক্রেতার ঘরে-ঘরে বস্তা-বস্তা কয়েন জমে গিয়েছে। ছ’মাস আগে শান্তিপুর থানার পুলিশ কয়েন নিয়ে প্রচার শুরু করেছিল। কেউ কয়েন নিতে না চাইলে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছিল। বেলডাঙা পুরসভা এবং থানা থেকেও বাসিন্দাদের সচেতন করা হয়েছিল। কিন্তু সমস্যা যে কিনারে ছিল, রয়ে গিয়েছে সেখানেই।
মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক পি উলগানাথনের দাবি, “জেলার বিভিন্ন এলাকায় ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে সচেতন করা হচ্ছে। এ ছাড়া লিড ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের মাধ্যমে রাজ্য স্তরের ব্যাঙ্কারদের বৈঠকেও বিষয়টি বলা হয়েছে।” নদিয়ার জেলাশাসক সুমিত গুপ্তও এক সুরে দাবি করেন, “আমরা বিভিন্ন সময়ে জেলাবাসীকে সচেতন করছি।” কাল, শুক্রবার জেলা স্তরে ব্যাঙ্কার্স কমিটির বৈঠক রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রতিনিধির উপস্থিতিতেও এ বিষয়ে কথা হবে বলে তিনি জানান।
মুর্শিদাবাদের লিড ব্যাঙ্ক ম্যানেজার অমিত সিংহের দাবি, “ব্যাঙ্কের তরফ থেকেও আমরা সচেতন করছি। এ ছাড়া, জেলার ব্যাঙ্কগুলি স্থানীয় ভাবে গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলে কয়েন নিচ্ছেন।” তাঁর দাবি, সমস্যার কথা তাঁরাও রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে বলেছেন।
নদিয়ার লিড ব্যাঙ্ক ম্যানেজার নগেন্দ্রনাথ বিশ্বাস আবার এক ধাপ এগিয়ে দাবি করেন, “সচেতনতা বাড়ায় সমস্যা আগের চেয়ে অনেকটা কমেছে।” তাঁর আশ্বাস, জেলার এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের মোট ৫৭টি শাখাই ব্যবসায়ী গ্রাহকদের থেকে কয়েন নেওয়ার পরিকল্পনা করছে। ব্যাঙ্কের কয়েন জমা নেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যাও রয়েছে। কেননা ব্যাঙ্ক থেকে গ্রাহকদের এক-এক ধরনের কয়েন দেওয়া হয় ওজন করে। ফেরত নেওয়ার সময়ে তা সম্ভব নয়। কেননা বিভিন্ন ধরনের কয়েন মিশে থাকে, সেগুলির ওজন সমান নয়। ব্যাঙ্কে কয়েন গোনার যন্ত্রও নেই। তা হাতে গুনেই জমা নিতে হবে। ব্যাঙ্কের কর্মীদের প্রশ্ন, তাঁদের পক্ষে এ ভাবে কত কয়েন জমা নেওয়া সম্ভব?
ব্যাঙ্কের অফিসারদের অনেকেরই মতে, বাজারে কয়েন ছাড়া বন্ধ করতে হবে। কয়েন তুলে সমতা বজায় রাখতে হবে। বঙ্গীয় প্রাদেশিক ব্যাঙ্ক কর্মচারী সমিতির মুর্শিদাবাদ জেলা সম্পাদক তপন ভট্টাচার্য বলেন, “একে কর্মিসঙ্কট, তায় কয়েন গোনার যন্ত্র নেই, তাই সমস্যা। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কয়েন গোনার পরিকাঠামো গড়ে তুলুক।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন