রক্তদান শিবিরের লাগাম কার হাতে থাকবে? তৃণমূলের হাতে, নাকি যুব তৃণমূলের হাতে? এই বিরোধ শেষ পর্যন্ত গড়াল দু’পক্ষের হাতাহাতিতে। বিচারের দাবিতে চিঠি পৌঁছেছে জেলা সভাপতির কাছে।
লালগোলার যশোইতলা এলাকায় রক্তগান শিবির হওয়ার কথা আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর। সে বিষয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে যশোইতলা অঞ্চলের পিরতলা হল্ট লাগোয়া ফাঁকা জায়গায় শ’ তিনেক কর্মী নিয়ে প্রস্তুতি সভা শুরু হয়।
সে সভা চলে ঘণ্টা দুয়েক ধরে। যূব তৃণমূলের লালগোলা ব্লক সভাপতি আব্দুল হাকিম জানান, সভা ঠিক মতোই চলছিল। তৃণমূলের সহায়তা নিয়ে যুব তৃণমূলের পরিচালনায় রক্তদান শিবিরের কথা নিয়ে আলোচনা হয়।
সভার শেষের দিকে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি তোফিকুল ইসলাম ও অঞ্চল সভাপতি সাবিরুল ইসলাম দাবি করেন, প্রস্তাবিত রক্তদান শিবির হবে তৃণমূলের ব্যানারে। সে ক্ষেত্রে যুব তৃণমূল সহায়তা করবে। তিনি বলেন, ‘‘প্রতিবাদ করতেই তোফিকুল ইসলাম ও সাবিরুল ইসলাম আমাকে ও আমার কয়েকজন অনুগামীকে কিল, চড়, ঘুসি, লাথি মারে।’’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে উঠতেই দু’পক্ষে সংঘর্ষ বেধে যায়। তোফিকুল দৌড়ে পালিয়ে গিয়ে স্থানীয় একটি বাড়িতে আশ্রয় নেন। তোফিকুল বলেন, ‘‘মারধর হয়নি। ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটেছে।’’ তাঁর প্রশ্ন, রক্তদান শিবির সফল করতে তৃণমূলের বুথ সভাপতিরা লোক আনবেন, টাকা খরচ করবেন, দায়িত্ব নেবেন। তা হলে সেই রক্তদান শিবির যুব তৃণমূলের ব্যানারে হবে কেন? তাঁর অভিযোগ, সে কথা বলতেই পরিবেশ উত্তপ্ত করে তোলে আব্দুল হাকিম। তাঁর লোকজন নেই বলে প্রচারের আলোয় আসতে ওই রকম কাণ্ডজ্ঞানহীন ঘটনা ঘটিয়েছে সে।
মারধরের ঘটনার কথা জানিয়ে প্রতিকার দাবি করে শুক্রবার জেলা সভাপতি মান্নান হোসেনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন আব্দুল হাকিম। অন্যদিকে লালগোলা ব্লকের দলীয় চেয়ারম্যান চাঁদ মহম্মদের কাছে আব্দুল হাকিমের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করেন তোফিকুল ইসলাম।
মান্নান হোসেন জানিয়েছেন, আব্দুল হাকিমের অভিযোগ তিনি পেয়েছেন। তোফিকুলের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইব। তিনি বলেন, ‘‘শাখা সংগঠন হিসেবে রক্তদান শিবির যুব তৃণমূল করতেই পারে। তারাই করবে।’’ চাঁদ মহম্মদ বলেন, ‘‘ফোনে ওই ঘটনার কথা আমি জেনেছি। রক্তদান শিবির যুব তৃণমূলের ব্যানারেই হওয়ার কথা এবং সেটাই হবে।’’