ছাত্র পরিষদের এক জেলা নেতাকে বেলডাঙা থানার সামনেই মারধর করেছে টিএমসিপি, অথচ পুলিশ নিষ্ক্রিয়— এই অভিযোগ তুলে আধ ঘণ্টা ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটা থেকে এই অবরোধের ফলে জাতীয় সড়কে যানজট বেধে যায়। পরে পুলিশ অভিযুক্তদের ধরার আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে।
আগামী ২৮ জানুয়ারি বেলডাঙা কলেজে নির্বাচন। ছাত্র পরিষদের অভিযোগ, ভোট ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই টিএমসিপি কলেজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। বুধবার কলেজ চলাকালীন তাদের সাত সমর্থককে মারধর করা হয়। সন্ধ্যায় সংগঠনের জেলা সাধারণ সম্পাদক হজরত আলি অভিযোগ জানাতে গেলে বেলডাঙা থানার সামনেই টিএমসিপি তথা তৃণমূলের লোকজন তাঁকে চড়- ঘুষি-লাথি মারে। পুলিশ ছিল দর্শকের ভূমিকায়। রাতেই হজরত তৃণমূলের কয়েক জনের নামে লিখিত অভিযোগ করেন। কিন্তু কাউকে
ধরা হয়নি।
এরই প্রতিবাদে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের বেলডাঙা থানা মোড়ে পথ অবরোধ করে কংগ্রেস এবং ছাত্র পরিষদ। অবরোধ কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেস সভাপতি আবু তাহের খান। বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি বলেন, ‘‘পুলিশের সামনেই আমাদের নেতাকে ধরে মারা হয়েছে। প্রতিবাদে এই অবরোধ।’’ বেলডাঙা ১ ব্লক টিএমসিপি সভাপতি সুরজ মির অবশ্য দাবি করেন, ‘‘কলেজে কাউকে মারা হয়নি। থানার সামনেও কোন ঘটনা ঘটেনি। ছাত্র পরিষদ নিজেদের মধ্যে গণ্ডগোল করে এখন ভোটের আগে আমাদের নামে কুৎসা করছে।’’