Coronvirus in West Bengal

সংক্রমণে রাশ টানতে মরিয়া

এমনিতেই নদিয়ায় কোভিড হাসপাতালগুলিতে মৃত্যুর হার উদ্বেগজনক। যা নিয়ে সম্প্রতি স্বাস্থ্যভবনের সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে জেলার স্বাস্থ্যকর্তাদের।

Advertisement

সুস্মিত হালদার 

কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২০ ০২:১৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

এগিয়ে আসছে পরীক্ষার মুহূর্ত। জেলার স্বাস্থ্যকর্তারা মনে করছেন, চলতি মাসের শেষের দিকে করোনা-সংক্রমণ চরম আকার নিতে পারে। আর এ বছর ঠিক তখনই দিন পড়েছে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজার। ফলে মানুষকে সচেতন করতে প্রচারাভিযান চালানোর পাশাপাশি করোনা চিকিৎসা-পরিকাঠামো আরও শক্তিশালী করার উপর স্বাস্থ্য দফতর জোর দিচ্ছে।

Advertisement

কৃষ্ণনগর গ্লোকাল কোভিড হাসপাতালে শয্যাসংখ্যা ১৫০। এখন সেখানে প্রায় ১২০ জন ভর্তি আছেন। আর কল্যাণীর কার্নিভাল হাসপাতালে ১২০টি শয্যা রয়েছে। সেখানে এই মুহুর্তে ভর্তি রয়েছেন ৭০ জন। রোগী বাড়তে পারে ধরে নিয়ে এই দুই হাসপাতালের পাশাপাশি কল্যাণীতে একটি তিনশো শয্যার কোভিড-৩ হাসপাতাল তৈরি করে রাখছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। কল্যাণীর পুরনো যক্ষ্মা হাসপাতালে ওই কোভিড হাসপাতাল তৈরি হবে। উপসর্গ আছে কিন্তু অবস্থা তেমন গুরুতর নয় এমন রোগীদের সেখানে ভর্তি রাখা হবে। জেলার স্বাস্থ্যকর্তারা জানিয়েছেন, নতুন কোভি়ড হাসপাতালের জন্য জেলা থেকে আরও ২০ জন চিকিৎসক ও ৪০ জন নার্স চেয়ে পাঠানো হয়েছে।

এমনিতেই নদিয়ায় কোভিড হাসপাতালগুলিতে মৃত্যুর হার উদ্বেগজনক। যা নিয়ে সম্প্রতি স্বাস্থ্যভবনের সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে জেলার স্বাস্থ্যকর্তাদের। দিন কয়েক আগে জেলার স্বাস্থ্যকর্তাদের পাশাপাশি জেলার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করেছেন জেলাশাসক বিভু গোয়েল। সেখানে কর্তব্যে গাফিলতি হলে চিকিৎসকদের কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হবে বলে জানিয়ে দেন তিনি। পরদিনই এক জন চিকিৎসককে শো-কজ করা হয়। কিন্তু এই কড়াকড়ির পাশাপাশি চিকিৎসা পরিকাঠামোও যে উন্নত করতে হবে, সেটা বিলক্ষণ জানেন কর্তারা।

Advertisement

জেলার এক স্বাস্থ্যকর্তার কথায়, “এত দিন ঘরবন্দি থাকার পর স্বাভাবিক ভাবেই মানুষ দুর্গাপুজোর উৎসবে মেতে উঠতে চাইবেন। মণ্ডপে ঠাকুর দেখার ভিড় হবে আমরা ধরে নিচ্ছি। আর তাতেই সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকছে। তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে একাধিক পদক্ষেপ করার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।”

পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠক করে বেশ কিছু বিধিনিষেধ জারি করা হচ্ছে। যেমন, মণ্ডপে ঢোকা ও বার হওয়ার আলাদা পথ রাখতে হবে। একসঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ জনের বেশি মানুষকে মণ্ডপে থাকতে দেওয়া যাবে না। প্রবেশপথে রাখতে হবে ‘স্যানিটাইজার ট্যানেল’।

এ বিষয়ে নদিয়া জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অপরেশ বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, “জেলাশাসককে সামনে রেখে উৎসবের দিনগুলিতে করোনা করোনা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন