Corona

বিধি না মানাই ডাকছে বিপদ, দ্রুত বাড়ছে সংক্রমণ, জোর টিকায়

এখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউ যখন দোরগোড়ায় তখন ৪৫ বছর বা তার বেশি বয়সিদের টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরত্ব দেওয়া হচ্ছে।

Advertisement

সুস্মিত হালদার

শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০২১ ০৮:০২
Share:

নিজস্ব চিত্র।

এখন থেকে আর কোনও সামনের সারির করোনা যোদ্ধা বা স্বাস্থ্যকর্মী টিকা নেওয়ার জন্য নাম নথিভূক্ত করাতে পারবেন না। ফলে ৪৫ বছরের কমবয়সিদের টিকা পাওয়ার সুযোগ কার্যত বন্ধ হয়ে গেল।

Advertisement

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, অনেক আগেই এই দুই ক্ষেত্রে প্রতিষেধক নেওয়ার সময়সীমা শেষ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তার পরও রবিবার পর্যন্ত নাম নথিভুক্ত করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এ বার আর সেঅ সিযোগ থাকছে না। তবে ৪৫ বছর বা তার বেশি বয়সিরা টিকা নেওয়ার সুযোগ পাওয়ায় অনেকেই সেই সুযোগ নিতে পারেন।

জেলার স্বাস্থ্য কর্তারা জানাচ্ছেন, ১৬ জানুয়ারি প্রথম স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকা দেওয়া শুরু হয়। তার আগে থেকে তাঁদের নাম নথিভুক্ত করার সুযোগ ছিল। সেই সঙ্গে সামনের সারির কর্মীদেরও টিকা দেওয়া শুরু হয়। জেলার স্বাস্থ্যকর্তারা বলছেন, যাঁরা টিকা নিতে ইচ্ছুক তাঁরা ইতিমধ্যে নাম তা নিয়েও নিয়েছেন। সামান্য দু’এক জন হয়ত বাকি থেকে গিয়েছেন। কিন্তু যে কোনও কর্মসূচিরই তো একটা সময়সীমা থাকে, তা অনন্তকাল চলতে পারে না।

Advertisement

এখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউ যখন দোরগোড়ায় তখন ৪৫ বছর বা তার বেশি বয়সিদের টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরত্ব দেওয়া হচ্ছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, এখন জেলায় ১৫৪টি কেন্দ্র থেকে টিকা দেওয়া চলছে। শনিবার প্রায় ১৫ হাজার ৮০০ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ১৫ থেকে ১৬ হাজার মানুষকে টিকা দেওয়া হচ্ছে। আগামী দিনে টিকা গ্রহণ কেন্দ্রের পাশাপাশি দৈনিক টিকা দেওয়া সংখ্যাও ধাপে ধাপে আরও বাড়ানো হবে। সেই সঙ্গে নতুন করে জোর দেওয়া হচ্ছে লালারস পরীক্ষার উপরে। পরীক্ষার সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ানো হচ্ছে। রবিবার সকাল ৭টা পর্যন্ত ৮৪০ জনের আরটিপিসিআর এবং ২৮২ জনের র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হয়েছে। সেটা যথাক্রমে এক হাজার ও ৪০০ পর্যন্ত তুলে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্র নেওয়া হয়েছে।

কিন্তু স্বাস্থ্যকর্তাদের বক্তব্য, টিকা বাড়ানোর পাশাপাশি করোনা বিধি কঠোর ভাবে মেনে চলাও প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে। কারণ আবার নতুন করে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। রবিবার সকাল ৭টা পর্যন্ত সংক্রমণ ধরা পড়েছে এক দিনে ২২ জনের। ঠিক এক মাস আগে, ৪ মার্চ সংখ্যাটা ছিল ৩। কর্তারা বলছেন, ভোটের সময়ে রাজনৈতিক দলগুলি মিটিং-মিছিলে বেপরোয়া ভিড় এড়ানোয় সচেতন না হলে ভুগতে হবে সর্বস্তরের মানুষকেই। কেনন প্রথম পর্যায়ের তুলনায় দ্বিতীয় পর্যায়ে সংক্রমন আরও ব্যাপক ও দ্রুত গতিতে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ভোটের মরশুমে সংক্রমন আবার ব্যাপক হারে বাড়তে পারে বলে ধরে নিয়ে নতুন করে পরিকাঠামো তৈরি করতে শুরু করেছে স্বাস্থ্য দফতর। কল্যাণীর যক্ষ্মা হাসপাতালটি বর্তমানে নদিয়া জেলার এক মাত্র কোভিড হাসপাতাল। সেখানে আড়াশোটির মত শয্যা আছে। এখন সেখানে হাতে গোনা কয়েক জন ভর্তি থাকলেও নির্বাচনের পর সংখ্যাটা অনেকটাই বাড়তে পারে ধরে নিয়ে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালেও একশো শয্যার একটি কোভিড ওয়ার্ড তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। আগামী দিনে পরিস্থিতি দ্রুত খারাপ হলে আরও পরিকাঠামো বাড়াতে হতে পারে, এটা মাথায় রেখেই স্বাস্থ্য দফতর প্রস্তুতি নিচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন