মৃত মলয় সেন ও সুপ্রিয়া সেন। নিজস্ব চিত্র
অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে এক দম্পতির। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম মলয় সেন (৩০) এবং সুপ্রিয়া সেন(২৫)। বুধবার ভোরে রানাঘাট থানার হবিবপুর এলাকায় বাড়িতে স্বামী-স্ত্রী দু’জনকেই ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। বারান্দায় সুপ্রিয়ার দেহ সিলিং থেকে ঝুলতে দেখা যায়। আর মলয়ের মৃতদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় শোওয়ার ঘরে। সেই ঘরেই শুয়েছিল ওই দম্পতির একমাত্র ছেলে বছর পাঁচেকের সুমন। মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের ধারণা, তাঁরা আত্মহত্যা করেছেন। তবে তার কারণ স্পষ্ট হয়নি। পুলিশ সূত্রের খবর, সম্ভবত এক জন প্রথমে আত্মহত্যা করেন এবং তাঁকে দেখে দ্বিতীয়জন আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। পরিবার সূত্রের খবর, জমি নিয়ে বাবার সঙ্গে মলয়বাবুর একটা বিবাদ চলছিল। এই ঘটনায় পরিবারের কেউ অভিযোগ করেননি। পুলিশই অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রানাঘাট ১ নম্বর ব্লকের হবিবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নারিকেলডাঙা এলাকায় বাড়ি পেশায় রাজমিস্ত্রী মলয়দের। বছর সাতেক আগে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ খলিতপুর গ্রামের বাসিন্দা সুপ্রিয়ার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। সুপ্রিয়ার বাবা নারায়ন বিশ্বাস বলেন, “এ দিন সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ রানাঘাট থানা থেকে আমাদের ফোন করে ওঁদের মৃত্যুর খবর জানায়। ওদের বসবাসের জায়গা বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। সরে যেতে বলা হয়েছিল। তা নিয়ে গোলমাল হচ্ছিল। জামাই বলেছিল, ওদের ভয় করছে। আমার মনে হচ্ছে এটা আত্মহত্যা নয়। ওদের মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।” তবে তিনি খুনের মামলা দায়ের করেননি।
মলয়ের বাবা সুবর্ন সেন বলেন, “ছেলে এবং বৌমা আলাদা থাকত। তবে, জমির জন্য ওই ঘটনা ঘটেছে বলে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা ঠিক নয়। আমি জায়গা বিক্রি করেছি। কিন্তু বাড়িতে আরও পাঁচ কাঠা জায়গা রয়েছে। সেখানে ওদের বাড়ি করতে বলেছিলাম।’’