ভোট ফেরানো লক্ষ্য জোটের

পুরনো হিসাব ভুলে সিপিএম-কংগ্রেস জোটের প্রথম লক্ষ্য নিজেদের ভোট ব্যাঙ্ক বাড়ানো এবং ছেড়ে যাওয়া ভোটারদের ফিরিয়ে আনা।

Advertisement

কল্লোল প্রামাণিক

 করিমপুর  শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০১৯ ০২:৩৫
Share:

ফাইল চিত্র

সিপিএমের দীর্ঘ উনচল্লিশ বছরের শক্ত ঘাঁটি করিমপুর গত নির্বাচনে তৃণমূল ছিনিয়ে নেয়। সেই আসন পুনরুদ্ধারে এ বারের উপ-নির্বাচনে জোট বেঁধেছে সিপিএম ও কংগ্রেস। ১৯৭৭ সাল থেকে এখানে সিপিএম জিতে এসেছে। এমনকি ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে যখন রাজ্যের পালাবদল হয়ে তৃণমূল ক্ষমতায় আসে সে বারও কংগ্রেস ও তৃণমূল জোটের প্রার্থী রমেন সরকারকে পাঁচ হাজারেরও বেশি ভোটে হারিয়েছিলেন সিপিএমের সমরেন্দ্রনাথ ঘোষ। ২০১৬ সালে সিপিএম-কংগ্রেস জোট করে লড়াই করেও তৃণমূলের মহুয়া মৈত্রের কাছে প্রায় সাড়ে পনেরো হাজার ভোটে হেরে যায়। এ বার আবার সেই জোট করেই ভোটের লড়াইয়ে নেমেছে দুই দল।

Advertisement

পুরনো হিসাব ভুলে সিপিএম-কংগ্রেস জোটের প্রথম লক্ষ্য নিজেদের ভোট ব্যাঙ্ক বাড়ানো এবং ছেড়ে যাওয়া ভোটারদের ফিরিয়ে আনা। গত বিধানসভায় জোটের অভিজ্ঞতা ভাল হয়নি। সে বারও সিপিএম-কংগ্রেস জোটবদ্ধ হয়ে লড়াই করেছিল। কিন্তু ফলাফলে দেখা গিয়েছিল, কংগ্রেস মোট ৪৪ টা আসনে জয়লাভ করলেও সিপিএম প্রার্থীরা জিতেছিল মাত্র ২৮টি আসনে। এলাকার কংগ্রেসের একাংশের বক্তব্য, এখনও পর্যন্ত যাঁরা কংগ্রেসে আছেন তাঁরা ক্ষয়িষ্ণু কংগ্রেস। তাঁদের কেউ কেউ সিপিএম প্রার্থীকে কতটা মেনে নেবেন তা নিয়ে সন্দেহ আছে। কারণ, কম সংখ্যক হলেও তাঁরা একটা নির্দিষ্ট আদর্শ থেকে সরতে পারেননি।

রাজনীতিবিদদের মতে, সিপিএম ক্যাডার-ভিত্তিক দল। তাদের উচ্চ নেতৃত্বের নির্দেশ মত নিচু স্তরের কর্মী ও ভোটাররা ভোটে অংশ নেন। কিন্তু কংগ্রেস ক্যাডার ভিত্তিক দল নয়। তার প্রমাণ গত বিধানসভার ফলাফল। যদিও এ ব্যাপারে রাজ্য কংগ্রেস নেতা অমিতাভ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘দুই দলের আদর্শগত কিছু ফারাক থাকলেও সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রুখতে সিপিএম-কংগ্রেসের উচ্চ নেতৃত্ব এই জোট করেছেন। ধর্ম নিরপেক্ষ মানুষ এই জোটকে সমর্থন করবেন।’’ বুধবার থানারপাড়ার জনসভায় লোকসভার বিরোধী দলনেতা ও কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, “আগের বার জোটটা পোক্ত ছিল না। তাই এ বার আগেই প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।” জোট যাঁকে সমর্থন করছে সেই সিপিএমের প্রার্থী গোলাম রাব্বি-র কথায়, “বিভিন্ন কারণে অনেক মানুষ আমাদের ছেড়ে অন্য দলে গিয়েছিলেন। তাঁদের মোহ ভঙ্গ হয়েছে এবং তাঁরা ফিরে আসবেন এবং আমাদের জয়ী করবেন।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন