কাটমানি ফেরত চাইল বাম-পদ্ম

এ দিন দুপুরে মহকুমাশাসকের বাংলোর সামনে থেকে মিছিল শুরু করেন সিপিএম কর্মীরা। খানিকটা দূরে মহকুমাশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে তাঁরা বিক্ষোভ দেখান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

রানাঘাট ও কৃষ্ণগঞ্জ শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০১৯ ০১:৪২
Share:

রমা বিশ্বাসের নেতৃত্বে সিপিএমের বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র

কাটমানি ফেরতের দাবি নিয়ে এ বার পথে নামল সিপিএমও। সোমবার রানাঘাট মহকুমাশাসকের কার্যালয়ের সামনে তারা বিক্ষোভ দেখায়। এই কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন নদিয়ার এক মাত্র সিপিএম বিধায়ক রমা বিশ্বাস। ও দিকে কৃষ্ণগঞ্জের টুঙি-ভাজনঘাট গ্রাম পঞ্চায়েতে আবার অবস্থান বিক্ষোভ করে বিজেপি।

Advertisement

এ দিন দুপুরে মহকুমাশাসকের বাংলোর সামনে থেকে মিছিল শুরু করেন সিপিএম কর্মীরা। খানিকটা দূরে মহকুমাশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে তাঁরা বিক্ষোভ দেখান। রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক রমা বিশ্বাসের অভিযোগ, “মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, কাটমানি ফেরত দিতে হবে। কিন্তু যে পদ্ধতির মধ্যে কাটমানি দেওয়া যায়, সেটা সরকারই তৈরি করে দিয়েছে। অনলাইন ব্যবস্থার কথা বলা হচ্ছে। সেই ব্যবস্থাই নেই। এত দিন বিধায়ক তহবিলের টাকা বিডিওকে দিতে পারতাম। এখন তা পঞ্চায়েত সমিতির মাধ্যমে করতে হচ্ছে। সেই সময়েই কাটমানি খাওয়া সুযোগ রয়েছে।’’

এ ছাড়াও গীতাঞ্জলি প্রকল্পে ঘর দেওয়া নিয়েও কাটমানি নেওয়া হচ্ছে বলে রমার অভিযোগ। তাঁর দাবি, ‘‘আমরা গরিব মানুষের তালিকা দিয়েছি। তাঁরা ঘর পাচ্ছেন না। পথবাতি নিয়ে প্রকল্প আমি নিজে তৈরি করে দিয়েছি। প্রতি বাতির দাম ঠিক করা হয়েছে ১৫ হাজার টাকা। সেটা ২০ হাজার টাকা করে টেন্ডার করা হয়েছে।” রাস্তা তৈরি করতেও ঘুষ নেওয়া হয় অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘‘আমার সাধরণ মানুষকে বলেছি, কেউ যেন টাকা না দেয়।”

Advertisement

এ প্রসঙ্গে রানাঘাট ২ ব্লক তৃণমূল সভাপতি দেবাঞ্জন গুহঠাকুরতা বলেন, ‘‘কাটমানি নেওয়া আমরাও সমর্থন করি না। যদি কেউ নিয়ে থাকে, তাকে ফেরত দিতে হবে, এটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ। সকলকেই এই নির্দেশ মেনে চলতে হবে।’’

এ দিনই টুঙি-ভাজনঘাট পঞ্চায়েতে অবস্থান বিক্ষোভ করে বিজেপি। কাটমানি ফেরত চাওয়ার পাশাপাশি একাধিক অনিয়মের অভিযোগ তুলে তারা প্রধানের কাছে স্মারকলিপি দেয়। একশো দিন কাজের প্রকল্পের মজুরি ঠিক মতো দেওয়ার দাবিও তোলা হয়েছে। এর আগেও জেলার অন্য নানা এলাকায় এ রকম বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে তারা।

বিজেপির ৩৫ নম্বর জেলা পরিষদ মাজদিয়া মণ্ডল কমিটির সভাপতি গৌতম ঘোষ বলছেন, “কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকের মানুষও সরকারি প্রকল্প ও অন্য নানা ক্ষেত্রে দেওয়া কাটমানি ফেরত চাইছেন। আমরা সেই দাবি নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাব।” পঞ্চায়েত প্রধান, তৃণমূলের কৃষ্ণগোপাল মণ্ডল অবশ্য দাবি করেন, ‘‘আমাদের এই পঞ্চায়েতে এ সব কিছু নেই। ওরা ফালতু রাজনীতি করতে চাইছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন