Crisis of Deepak

অকাল-প্রদীপের জোগানে ঘাটতি, হন্যে রামভক্তেরা

এ দিন নানা দশকর্মা ভান্ডারে ঘুরেও প্রদীপের দেখা মেলেনি। যদিও বিকাল পর্যন্ত অনেক দোকানেই প্রদীপের খোঁজে ক্রেতাদের আনাগোনা ছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তেহট্ট শেষ আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৪ ০৫:৪৩
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

অযোধ্যায় রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা উপলক্ষে আজ, সোমবার ঘরে-ঘরে প্রদীপ জ্বালানোর জন্য দেশবাসীকে আবেদন জানিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। সেই মতো দলের সমর্থক ও রামভক্তেরা হন্যে হয়ে প্রদীপ খুঁজতে বেরিয়ে পড়েছেন। কিন্তু দীপাবলির সময়ে বাজারে মৃৎপ্রদীপের যে জোগান থাকে, এখন তা নেই।

Advertisement

রবিবার তেহট্টের বেতাই সাধুবাজার পালপাড়া বা বিভিন্ন মৃৎশিল্পীর ঘরে গিয়ে দেখা যায়, নতুন করে মাটির প্রদীপ তৈরি হচ্ছে। শেষবেলায় যতটুকু যা রোজগার করে নেওয়া যায়! শিল্পীরা জানান, কতটা চাহিদা থাকবে তা তাঁরা ঠিক মতো আন্দাজ করতে পারেননি। যেটুকু প্রদীপ তৈরি করার সম্ভব হয়েছিল তার সবটাই নিজের দোকান বা দশকর্মা ভান্ডার থেকে বিক্রি হয়ে গিয়েছে। গত কয়েক দিন খারাপ আবহাওয়ার জেরেও বেশি প্রদীপ তৈরি করা যায়নি।

এ দিন নানা দশকর্মা ভান্ডারে ঘুরেও প্রদীপের দেখা মেলেনি। যদিও বিকাল পর্যন্ত অনেক দোকানেই প্রদীপের খোঁজে ক্রেতাদের আনাগোনা ছিল। স্থানীয় বাসিন্দা মধুসূদন বিশ্বাস, ভবানী দত্তেরা বলেন, “সকালে গিয়ে প্রদীপ পাইনি। এক জায়গা থেকে মাত্র ১০টা আনতে পেরেছি।” বেতাই বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় রাম পুজোর উদ্যোক্তারাও সমস্যায় পড়েছেন। তাঁদের অন্যতম শ্রীকান্ত ঘোষ বলেন, “কয়েক হাজার প্রদীপ দিয়ে ভাল ভাবে সাজানোর পরিকল্পনা ছিল। আপাতত হাজারটা প্রদীপ সংগ্রহ করা গিয়েছে।” মৃৎশিল্পী তরুণ পাল, মদন পালেরা বলেন, “ক’দিন বৃষ্টি আর মেঘলা আবহাওয়ার জন্য বেশি প্রদীপ তৈরির ঝুঁকি নিতে পারিনি। এখন চাহিদা দেখে ফের তৈরি করছি। ” দোকানি সুমন হাজরা, বিক্রম পালেরা বলেন, “রবিবার সন্ধ্যায় প্রদীপের জোগান তলানিতে ঠেকেছিল। তবে মৃৎশিল্পীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। আশা করি, সোমবার ক্রেতাদের মুখে হাসি ফোটাতে পারব।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন