Relief

আর কত দিন অপেক্ষার পর মিলবে ত্রাণ

কৃষ্ণগঞ্জের শিবনিবাস দাসপাড়ার সবিতা দাসের ঘরের উপরে ভেঙে পড়েছে আস্ত গাছ

Advertisement

সুস্মিত হালদার

শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০২০ ০৫:১৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

বাড়ির টিনের চালটা উড়ে গিয়েছে ঝড়ে। কোনও মতে পরিবারের তিনটি মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন প্রতিবেশীর বাড়ি। হাঁসখালির তারকনগর বিলপাড়ার বাসিন্দা অনিল হালদার এখনও ফিরতে পারেননি নিজের ঘরে। ছাদ ঢাকার ত্রিপল এখনও হাতে পাননি তিনি

Advertisement

একই অবস্থা শিবচন্দ্রপুরের শ্রীমতি মণ্ডলের। তাঁরও ঘরের চাল উড়ে গিয়েছে আমপানে। দিনমজুর স্বামী আর দুই সন্তান নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন প্রতিবেশীর বাড়ি। প্রতিবেশীরা বাঁশের খুঁটি দিয়ে কোনও মতে তাঁর ঘরটাকে করিয়েছেন। কিন্তু সামান্য হাওয়া দিলেই ঘর ঠকঠক করে নড়ে উঠছে। নতুন খুঁটি বা ত্রিপল, কিছুই ঝড়ের পর একশো ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও তাঁদের কাছে পৌঁছে দিতে পারেনি প্রশাসন।

কৃষ্ণগঞ্জের শিবনিবাস দাসপাড়ার সবিতা দাসের ঘরের উপরে ভেঙে পড়েছে আস্ত গাছ। তিনি ত্রিপল পেয়েছেন, কিন্তু ঘরে খাওয়ার মতো কিছুই নেই। প্রশাসন থেকে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার-পিছু ১২ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। সবিতাদেবীর এলাকার কেউ ত্রাণের সেই চাল এখনও পাননি।

Advertisement

জেলার সর্বত্র ত্রাণ নিয়ে বাড়ছে ক্ষোভ। প্রশ্ন উঠছে, ত্রাণ পেতে আর কত অপেক্ষা করতে হবে? কেন এত দিন পরেও চাল, ত্রিপল, পোশাক এসে পৌঁছবে না সর্বহারাদের কাছে?

অতিরিক্ত জেলা শাসক নারায়ণ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, “যাঁরা এখনও ত্রাণ পাননি তাঁদের সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্তরা সকলেই ত্রাণ পাবেন।” জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনার জন্য প্রতিটি ব্লকে প্রায় ১২০০ মেট্রিক টন চাল পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল। ঝড়ের জন্য প্রাথমিক ভাবে সেই চাল থেকে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে ঝড়ের ত্রাণের জন্য রাজ্য সরকারের কাছে চাল চাওয়া হয়েছে।

জেলায় প্রায় ৭২ হাজার ত্রিপল দরকার। জেলার তরফে ৫০ হাজার ত্রিপল চাওয়া হয়েছে। এর মধ্যে দুই দফায় ৭ হাজার ত্রিপল পাওয়া গিয়েছে। ১৮ টি ব্লকে হাজার খানেক করে পোশাক আছে যা ক্ষতিগ্রস্তদের পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি রাজ্যের কাছে আরও প্রায় ৩০ হাজার পোশার চাওয়া হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন