ISRO Sun Mission

সৌর অভিযানে সঙ্গী আইসারও

সূর্যের কেন্দ্রে তাপমাত্রা প্রায় ১৪ মিলিয়ন ডিগ্রি কেলভিন। উপরিভাগে তা ৬ হাজার ডিগ্রি কেলভিন। কিন্তু একেবারে উপরের স্তর করোনায় তা আবার ১ মিলিয়ন ডিগ্রি কেলভিন।

Advertisement

অমিত মণ্ডল

 হরিণঘাটা শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৮:৫৫
Share:

দিব্যেন্দু নন্দী। —নিজস্ব চিত্র।

সূর্যকে নজরবন্দি করার অভিযানে ইসরোর সঙ্গে হাত মিলিয়েছে আইসার কলকাতাও।

Advertisement

শুক্রবারই হরিণঘাটা থেকে পাঁচ ছাত্রছাত্রীকে নিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার পথে রওনা দিয়েছেন সেখানকার সেন্টার অব এক্সসেলেন্স ইন স্পেস সায়েন্স, ইন্ডিয়ার বিভাগীয় প্রধান দিব্যেন্দু নন্দী। শ্রীহরিকোটার সতীশ ধবন স্পেস সেন্টার থেকে আজ, শনিবার আদিত্য-এল ওয়ান সৌরযানকে নিয়ে পিসএলভি রকেট পাড়ি দেবে মহাকাশে। সেই সৌরযানের সোলার আল্ট্রাভায়োলেট ইমেজিং টেলিস্কোপের (সংক্ষেপে ‘সুট’) নজরদারির অন্যতম দায়িত্ব দিব্যেন্দুরই।আইসারের গবেষণাগারে টেলিস্কোপের কিছু নকশাও তৈরি হয়েছে। এই কাজে দিব্যেন্দুর সঙ্গী ছিলেন তাঁর এক ছাত্রী এবং দু’জন ইঞ্জিনিয়ারও।

দিব্যেন্দু জানান, আদিত্য-এল ওয়ান সৌরযানে সাতটি যন্ত্র রয়েছে। সেগুলির কোনওটি তৈরি হয়েছে বেঙ্গালুরুর ইউ আর রাও স্যাটেলাইট সেন্টারে, কোনওটি ইসরোর বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টার, ফিজ়িক্যাল রিসার্চ ল্যাবরেটরি, ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব অ্যাস্ট্রোফিজ়িক্স বা পুণের আয়ুকা-য়। সোলার আল্ট্রাভায়োলেট ইমেজিং টেলিস্কোপ তৈরি হয়েছে আয়ুকা-তেই। সেটির কাজ সূর্যের থেকে ধেয়ে আসা অতিবেগুনি রশ্মির মাধ্যমে ছবি ফুটিয়ে তোলা এবং তার মাধ্যমে সৌরপৃষ্ঠে ছড়িয়ে থাকা সৌরকলঙ্ক পর্যবেক্ষণ করা। চৌম্বকীয় ক্ষেত্র কী করে নিয়ত পরিবর্তনশীল রশ্মি বিকিরণকে প্রভাবিত করে, জানা যাবে তা-ও।

Advertisement

সূর্যের কেন্দ্রে তাপমাত্রা প্রায় ১৪ মিলিয়ন ডিগ্রি কেলভিন। উপরিভাগে তা ৬ হাজার ডিগ্রি কেলভিন। কিন্তু একেবারে উপরের স্তর করোনায় তা আবার ১ মিলিয়ন ডিগ্রি কেলভিন। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, সূর্যের কেন্দ্রে পারমাণবিক ফিউশনের কারণে যে প্রবল উত্তাপ থাকে তা পরিধিতে কমে আসে। করোনার বিপুল তাপমাত্রার কারণ চৌম্বক ক্ষেত্র যা ‘ম্যাগনেটিভ রি-কানেকশন’ প্রক্রিয়ায় বাড়তি শক্তি উৎপন্ন করে। পুরো পদ্ধতিটা বুঝতে সাহায্য করবে ‘সুট’।

মহাশূন্য এবং পৃথিবীর পরিবেশের উপরে সৌরঝড়ের প্রভাব নিয়ে সেন্টার অব এক্সসেলেন্স ইন স্পেস সায়েন্সে গবেষণা হয়। সেখানে মূলত কম্পিউটার মডেলিং করা হয়। আকাশে ছড়িয়ে থাকা সব উপগ্রহ যাদের উপরে টেলিকমিউনিকেশন, নেভিগেশন, ডিফেন্স কমিউনিকেশন ইত্যাদি নির্ভর করে, সৌরঝড়ে সেগুলি কী ভাবে প্রভাবিত হবে, সে সম্পর্কে পূর্বাভাস করা হয় মডেলের সাহায্যে। দিব্যেন্দু জানাচ্ছেন, ‘সুট’ এবং ‘ভিজ়িব্‌ল এমিশন লাইন করোনাগ্রাফ’ যন্ত্রে পর্যবেক্ষণের তথ্য পেলে আরও নির্ভুল পূর্বাভাস করা যাবে। দিব্যেন্দু বলেন, “এই অভিযান সফল হবে বলেই আমাদের আশা।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন