দিশা তরফদার।
ব্ল্যাক বোর্ড মোছার সময় চকের গুঁড়োয় সমস্যা হতো মেয়েটির। শ্বাসকষ্ট, অ্যালার্জিতে ভুগছে তার জনাকয়েক বন্ধুও। সেখান থেকেই ভাবনার শুরু। আর সেই ভাবনা থেকেই কৃষ্ণনগর হোলি ফ্যামিলি স্কুলের দশম শ্রেণির দিশা তরফদার বানিয়ে ফেলে ‘ইকো ফ্রেন্ডলি বোর্ড ডাস্টার’।
তার তৈরি সেই ডাস্টার সর্ব ভারতীয় স্তরে ‘ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড ফর স্কুল চিলড্রেন’ প্রতিযোগিতায় পঞ্চম স্থান অধিকার করেছে। ২৬ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী দিল্লিতে তাদের পুরস্কৃত করবেন।
প্রতি বছর কেন্দ্রীয় সংস্থা ‘সিএসআইআর’ সর্ব ভারতীয় স্তরের এই প্রতিযোগীতার আয়োজন করে। ভারতের যে কোনও স্কুলের ১৮ বছরের কমবয়সি পড়ুয়ারা একক ভাবে বা দলগত ভাবে এই প্রতিযোগীতায় অংশ নিতে পারে। প্রথম থেকে পঞ্চম স্থানাধীকারীদের পুরস্কৃত করা হয়। ছাত্রছাত্রীদের নতুন নতুন আবিষ্কারে উৎসাহ ও স্বীকৃতি দিতেই এই প্রতিয়োগীরা আয়োজন করা হয়। প্রথম পর্যায়ে সেরা ৩৫টি উদ্ভাবনী প্রস্তাব বিশেষ মূল্যায়ণ প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত হয়। ২৬ এপ্রিল নির্বাচিত ছাত্র-ছাত্রী ও তাদের গাইডদের নিয়ে দিল্লিতে একটি ট্রেনিং কাম অ্যাওয়ারনেস ক্যাম্পের আয়োজন হয়েছিল। সেখানে আবিষ্কারের পেটেন্ট থেকে উদ্ভাবনী বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন দেশের বিশিষ্ট বিজ্ঞানীরা। দ্বিতীয় পর্যায়ে ছাত্র-ছাত্রীরা পেটেন্টের জন্য আবেদনপত্র জমা দেয়। দিশা পাঠায় পরিবেশ বান্ধব ডাস্টার।
দিশার কথায়, “ক্লাসে বোর্ড মোছার সময় চকের গুঁড়ো ওড়ে। তার জন্য শিক্ষক-শিক্ষিকা তো বটেই ছাত্র-ছাত্রীদের শ্বাসকষ্ট, অ্যালার্জি, চর্মরোগ হয়।’’ তার দাবি, পরিবেশ বান্ধব এই ডাস্টার সেই রোগ প্রতিরোধ করবে। কারণ, এই ডাস্টার চকের গুঁড়ো শুষে নেবে। এই ডাস্টার তৈরিতে কাঠের ব্যবহার হয় না। ফলে, এর জন্য গাছ কাটাও কমবে।