সিটুর সমালোচনা করতে গিয়ে প্রকাশ্য মঞ্চে মেজাজ হারালেন তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের রাজ্য সভানেত্রী দোলা সেন।
সাগরদিঘি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বাইরে বুধবার বিকেলে শ্রমিক সভায় ভাষণ দিচ্ছিলেন দোলা। সেখানেই সিটুর ‘কাজকর্ম’ প্রসঙ্গে প্রশ্ন তুলে নিজেকে আর বেঁধে রাখতে পারেননি দোলা সেন। রীতিমতো গালমন্দ করে বসেন তিনি। পরে তা নিয়ে অনুতাপও প্রকাশ করেন অবশ্য। বলেন, ‘‘জানি ভুল করেছি। তবে যা বলেছি, জেনে বুঝেই বলেছি।’’ তিনি বলেন, “শ্রমিকদের মজুরি চুক্তি নিয়ে নানা অপপ্রচার করছে সিটু। তাদের বলি, তোরা কে কথা বলার? তোরা কোন কালে হাইস্কিল কর্মীদের বেতন বাড়িয়েছিস?” তবে ওই প্রশ্ন তোলার মাঝেই ভেঙে ফেলেছিলেন শালীনতার সীমা। সেই সঙ্গে দলের দুই গোষ্ঠীর দ্বন্ধ নিয়েও তিনি জানান, সাগরদিঘিতে দলের নাম করে পাল্টা সংগঠন করে তোলা তুলেছেন কেউ কেউ। তাঁর কথায়, ‘‘তাদের অনেকেই এই মঞ্চে আজ বসে আছেন। সাগরদিঘি তাপ বিদ্যুত কেন্দ্রে কাজ, ঠিকাদারি পেতে গেলে আমাদের কিছু নেতাকেও টাকা দিতে হচ্ছে। কোম্পানির কাছে গিয়ে তোলা আদায় হচ্ছে। এটা চলবে না।’’
তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘‘সমান্তরাল সংগঠন করে মা মাটি মানুষের ঝান্ডা ধরছেন যারা তাদের বলছি, তৃণমূল করা চিরকালের মত ঘুচিয়ে দেব। এলাকা ছাড়া করে হাওয়া করে দেব।’’ এই সব হুঁশিয়ারি ঘোষণার পরই সাগরদিঘি তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মী সংগঠনের আইএনটিটিইউসির সম্পাদক সমরেন্দ্র নাথ পর্বতকে পাশে বসিয়ে দোলা ঘোষণা করেন “আজ থেকে সাগরদিঘি তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে শ্রমিকদের সমস্ত ইউনিয়ন ভেঙে দেওয়া হল। প্রতি মন্ত্রী জাকির হোসেনকে উপদেষ্টা করে একটি ৬ জনের একটি কমিটি গড়ে দেওয়া হল। এই কমিটিতে যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে কাজ করবেন আব্দুল রাজ্জাক, মেহেবুব আলম ও মসিউর রহমান।”